অনলাইন জুয়ায় ৫০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করছে।

 অনলাইন জুয়ায় ৫০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করছে।

দেশের প্রচলিত আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া এবং বেটিং সাইট নিষিদ্ধ। কিন্তু অনলাইন জুয়া থেমে নেই। দেশের অন্তত ৫০ লাখ মানুষ এই অনলাইন জুয়ায় জড়িত বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ, ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিভিন্ন বেটিং সাইট বন্ধ করার পরও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়া চলছে এবং প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এর ফলে দেশের অর্থ পাচার হয়ে বিদেশে যাচ্ছে।


গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী পলক সাংবাদিকদের জানান, অনলাইন জুয়া নিয়ে তাঁরা মতবিনিময় করেছেন। বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা এর মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে, এমনকি অনেক অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিও এ ধরনের জুয়ায় আসছেন।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫০ লাখ মানুষ এই অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। জুয়ার সাইটগুলো ব্লক করার চেষ্টা চলছে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যেন তারা প্রতারিত না হয় এবং দেশের মুদ্রা বিদেশে পাচার না হয়। এ পর্যন্ত ২,৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করা হয়েছে এবং মোবাইল অ্যাপগুলোও নিয়মিতভাবে ব্লক করা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।


প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি এবং সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জুয়ার সাইটগুলো ব্লক করার জন্য একটি যৌথ ড্রাইভ চলছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে নিয়মিত এসব সাইট ব্লক করা হচ্ছে। মিডিয়া ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এগুলো ব্লক করা হচ্ছে।

kk k

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে জুয়াড়িদের একটি চক্র দেশের বাইরে থেকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সুযোগ থাকায় কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এসব বেটিং অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট বিদেশ থেকে পরিচালিত হয় বলে এই অর্থ বিভিন্ন হাত ঘুরে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।

 

Post a Comment

0 Comments