মেধাবীদের বঞ্চিত করে দলীয় কর্মীদের নিয়োগের চক্রান্ত চলছে: অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার
### সরকার কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করে দলীয় কর্মীদের নিয়োগের চক্রান্ত করছে: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, সরকার কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করে দলীয় কর্মীদের নিয়োগের চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার উন্নয়নের জিকির তুলে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করেছে এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান সরকারের নীতি ও কার্যকলাপের ফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম ও নৈতিকতা দূর করে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত তরুণ যুবকেরা চাকরি না পেয়ে বেকারত্বের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে, অথচ কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করে দলীয় কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে এই ব্যর্থতার জবাব দিতে হবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে দেশকে রাহুগ্রাসে পরিণত করতে চাচ্ছে এবং দলীয় লোকদের দ্বারা লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে অচল করে দিচ্ছে। এই স্বৈরাচারী সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। অতীতে কোনো স্বৈরাচার সরকার জুলুম নির্যাতন চালিয়ে পার পায়নি, এই সরকারও পার পাবে না, ইনশাআল্লাহ।
এই বক্তব্য শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষাশিবিরে প্রদান করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের পরিচালনায় এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অধ্যক্ষ আব্দুর রব ও অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যবহারিক জীবন অন্যের কাছে অনুকরণীয় হতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা তাদের জীবনের সবকিছু কুরবানি করে ইসলামী আন্দোলনের সত্যিকার কর্মী হতে হবে এবং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার চিন্তা করে না। দেশের মানুষ তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনে সত্যিকার নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে দেখতে চায়। জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বকে গ্রহণ করতে দেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যাকুল হয়ে আছে।
f ff
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সফল ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে। আমরা পরিকল্পিতভাবে দাওয়াতী কাজ করে ইসলামী অনুশাসনের আহ্বান পৌঁছে দিচ্ছি। জুলুমের বিরুদ্ধে জামায়াত সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী। সামাজিক কাজের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছাতে হবে এবং জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে কর্মীদের সর্বোচ্চ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ আব্দুর রব, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, ও ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সকলেই তাদের বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

0 Comments