সব সূচকেই শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক

 সব সূচকেই শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক


### ইসলামী ব্যাংক: সূচকে শীর্ষস্থান এবং সম্প্রতি অর্জন

ইসলামী ব্যাংক পিএলসি দেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বিভিন্ন সূচকে। যদিও আমানতের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে ছিল, সাম্প্রতিককালে সে অবস্থানও শক্তিশালী হয়েছে। গত ডিসেম্বরে সোনালী ব্যাংককে পেছনে ফেলে ইসলামী ব্যাংক আমানতের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। গত ৬ মাসে ইসলামী ব্যাংকের নতুন আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। জুন মাস শেষে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের সাড়ে ৯ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়াও, ব্যাংকটি ১৬ বছর ধরে রেমিট্যান্স আয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। গত ৬ মাসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। আমদানি-রফতানি, এসএমই, সিএমএসএমই, শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি সূচকে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান এখন সবার শীর্ষে।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। প্রথম দশকেই গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হওয়া এই ব্যাংকটি ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের বিকাশে ব্যাংকটির বিনিয়োগ বড় ভূমিকা রেখেছে।

ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রায় ১০ শতাংশ। শিল্প অর্থায়নে ব্যাংকটির অবদান প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং এসএমই বিনিয়োগের প্রায় ১১ শতাংশ। এছাড়া সিএমএসএমই খাতে বিনিয়োগের প্রায় ২৬ শতাংশ ব্যাংকটির। ২০২৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের আমদানি ছিল ৫৭ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা এবং রপ্তানি ছিল ৩৩ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশব্যাপী ব্যাংকটির মোট ৩৯৫টি শাখা, ২৫০টি উপশাখা, ২৭৮৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৩ হাজার এটিএম ও সিআরএম বুথ রয়েছে। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪ জেলার ৩৩ হাজার গ্রামের প্রায় ১৭ লক্ষ সদস্যকে অর্থনৈতিক সেবা প্রদান করছে ব্যাংকটি। ২০২৩ সালে ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। 
ss s
ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যান্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা জানিয়েছেন, ব্যাংকটির সাফল্য সম্ভব হয়েছে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। বর্তমানে ব্যাংকটির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ১ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। 

এছাড়া প্রবাসীরাও ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন। ‘সেলফিন’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রযুক্তিভিত্তিক সব ধরনের ব্যাংকিং সমাধান পাওয়া যাচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments