সরকারি বাড়ির ভাড়া পরিশোধ করছেন না শামসুদ্দিন চৌধুরী।

 সরকারি বাড়ির ভাড়া পরিশোধ করছেন না শামসুদ্দিন চৌধুরী।


অবসরের পর এক বছরেরও বেশি সময় রাজধানীর গুলশানে একটি সরকারি বাড়ি দখলে রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বারবার তাকে বাড়িটি ছাড়ার জন্য তাগাদা দিলেও, তিনি তা শোনেননি। অবশেষে ২০১৭ সালের মে মাসে বাড়িটি ছাড়েন, কিন্তু বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানি বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা এখনও পরিশোধ করেননি।


আজ বৃহস্পতিবার শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ফোন ধরলেও, পরিচয় দেওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। বারবার কল দেওয়ার পরও ফোন ধরেননি এবং মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নথি অনুযায়ী, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী গুলশানে একটি সরকারি বাড়ি বরাদ্দ পান এবং তিনি অবসরে যান ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর। অবসরের পর বাড়িটিতে আরও দুই বছর থাকার অনুমতি চেয়ে তিনি চিঠি দেন, কিন্তু তাকে মাত্র ছয় মাস থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে বাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও, তিনি তা ছাড়েন ২০১৭ সালের মে মাসে।


আবাসন পরিদপ্তরের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, বাড়ি ছাড়ার অতিরিক্ত সময়ের জন্য জমা হওয়া খরচ ১৪ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি চাকরির সময় বাড়িভাড়া ও পরিষেবা বিল কাটা হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিন বছরের পরিষেবা বিলের বিবরণী চাওয়া হলেও, তিনি তা জমা দেননি।


আবাসন পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, শামসুদ্দিন চৌধুরী বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং বাজে ব্যবহার করেছেন। শেষপর্যন্ত, টাকা দাবি করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি বাসা ছাড়ার পর সব কর্মকর্তাকে আবাসন পরিদপ্তর থেকে না-দাবি সনদ নিতে হয়, কিন্তু শামসুদ্দিন চৌধুরী এই সনদের জন্য আবেদনই করেননি।


ff f

বর্তমানে ওই বাড়িতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস বসবাস করছেন। তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বাড়িটি ছাড়েন এবং সব পরিষেবা বিলের বিবরণী জমা দেন। কিন্তু শামসুদ্দিন চৌধুরী এখনও এসব বিবরণী জমা দেননি।

Post a Comment

0 Comments