নাগরিক সমাজের সাথে আমীরে জামায়াতের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 নাগরিক সমাজের সাথে আমীরে জামায়াতের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "কারো ওপর প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়। জামায়াত প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের দেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু ইস্যু সমাজকে শোষণের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা ধর্ম, বর্ণ, ও গোত্র নির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশী এবং একই মায়ের সন্তান। তাই সম্প্রতি নষ্ট করা চলবে না। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে হবে। ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেওয়া যাবে না। ছাত্ররাই আগামীর বাংলাদেশ; তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।"

২৩ আগস্ট শুক্রবার ঢাকার মিরপুরে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা। বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব মোঃ জাকির হোসেন আকন্দ, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, কাফরুল থানা বিএনপির আহবায়ক আকরাম বাবুল, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি তপনিমদ্রক নারায়ণ হোড়, লেখক ও গবেষক এবং মিরপুর-১৩ নং মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ফয়সাল জালালী প্রমুখ।


আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা দেশকে অঘোষিতভাবে ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, যা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান ছিল। আওয়ামী নেত্রী জরুরি সরকারকে তাদের আন্দোলনের সফলতা হিসেবে দাবি করেছিলেন। কথিত এই জরুরি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বললেও অবৈধভাবে দুই বছর পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রেখেছিল এবং নিজেদেরও দুর্নীতিতে জড়িয়েছিল। এই দুর্নীতি ও অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই আওয়ামী- বাকশালীদের ক্ষমতায় আনা হয়েছিল।

ff f

তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসীবাদী শক্তি ক্ষমতায় এসে দেশপ্রেমী শক্তিকে টার্গেট করে কথিত বিচারের নামে জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছে এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে নির্যাতন চালিয়ে দেশকে এক মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এসব অপকর্মকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি।


ডা. শফিকুর রহমান নতুন প্রজন্মকে আগামীর নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার আহবান জানান এবং বলেন, "আওয়ামী লীগ কথিত জঙ্গীবাদকে বিরোধী দল দমনের হাতিয়ারে পরিণত করেছিল এবং শত শত শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমাদের জুলুমের অবসান হয়েছে নতুন প্রজন্মের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"


সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, "জামায়াতে ইসলামী দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা উত্তরকে দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, ও দখলদার মুক্ত নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর এবং এজন্য আমরা নগরীতে জনহিতকর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি।"

Post a Comment

0 Comments