জামায়াতের নিবন্ধন মামলা পুনরায় চালু করা হবে: জামায়াতের আইনজীবী।

 জামায়াতের নিবন্ধন মামলা পুনরায় চালু করা হবে: জামায়াতের আইনজীবী।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আপিল মামলা পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।


বুধবার জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, আপিল বিভাগে মামলাটি এখনও মুলতুবি রয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষ হয়নি। মামলাটি "ডিসমিসড অর ডিফল্ড" হয়েছে, তাই আমরা এটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করব। আবেদনটি গ্রহণ হলে, মামলাটি মেরিট অনুযায়ী শুনানি হবে। যদি সর্বোচ্চ আদালত আমাদের আপিল মঞ্জুর করে, তাহলে আমরা আমাদের নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক ফিরে পাব। এভাবে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর আর কোনো আইনগত বাধা থাকবে না।

তিনি আরও জানান, জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়, ১ আগস্ট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা বিগত সরকারের এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা চেয়ে নতুন সরকারের কাছে আবেদন করি, যা আমলে নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোর সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং সরকার বিশ্বাস করে যে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নয়, তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আদেশ বাতিল করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পেশার মানুষ ও সাধারণ মানুষের লাল বিপ্লবের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করেন। এরপর, পূর্ববর্তী সংসদ ভেঙে দিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। বিদায়ী সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে বিভিন্ন সংগঠন এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

 

Post a Comment

0 Comments