এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্ধেকেরও বেশি অর্থ গ্রহণ করেছে।

এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্ধেকেরও বেশি অর্থ গ্রহণ করেছে। 

এস আলম গ্রুপ বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক থেকে মোট ঋণের অর্ধেকেরও বেশি গ্রহণ করেছে, এবং এই ঋণগুলো নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নামে ও বেনামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে নতুন বোর্ডের সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এসব তথ্য জানান।

m mm

তিনি জানান, গত জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির ঋণ স্থিতি ছিল এক লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে এস আলম গ্রুপ অর্ধেকেরও বেশি ঋণ নিয়েছে। এই ঋণগুলোর সম্পূর্ণ তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে তিনি জানান। এস আলম গ্রুপ সম্পদ অতিমূল্যায়ন করে ঋণ উত্তোলন করেছে, যা বর্তমানে পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তবে তাদের জামানত দিয়ে ঋণের পরিমাণ পুরোপুরি কাভার হবে না। এ কারণে ব্যাংক ইতিমধ্যেই আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে, যাতে জামানতের বাইরে থাকা সম্পদ চিহ্নিত করা যায়।

m mm

ওবায়েদ উল্লাহ আরও জানান, নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্যাংকের ঘাটতি ছিল প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, যা এখন কমে ২ হাজার কোটিতে এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছরের মধ্যেই ব্যাংকটি ইতিবাচক অবস্থানে ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক গ্রাহক এতদিন টাকা তুলতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তবে আজকের পর থেকে আর সেই সমস্যা হবে না। কারণ ব্যাংকে জমার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকছে।

ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এখনই সরানো হবে না, তবে ওপরের কিছু কর্মকর্তাকে সরানো হয়েছে এবং হবে। আইন অনুযায়ী, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু কোনো ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

mm m

ইসলামী ব্যাংককে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করা হয়েছে, যা তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২৫-২৬ সাল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর ধরা হয়েছে, এবং ২০২৭-২৯ সালকে এগিয়ে যাওয়ার বছর হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছে।


Post a Comment

0 Comments