প্রাথমিক শিক্ষায় ১১ ধরনের স্কুল ও ৫ ধরনের কারিকুলাম

 প্রাথমিক শিক্ষায় ১১ ধরনের স্কুল ও ৫ ধরনের কারিকুলাম


বিশ্বের অধিকাংশ দেশে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত, যেখানে সব শিক্ষার্থীকে একই বই ও একই ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি ভিন্ন। দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অন্তত ১১ ধরনের, এবং প্রতিষ্ঠানভেদে শিক্ষাক্রমে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। সরকারিভাবে স্বীকৃত বা অস্বীকৃত এসব প্রতিষ্ঠানগুলোয় কমপক্ষে পাঁচ ধরনের শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রাথমিক শিক্ষায় একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলা হলেও দেড় দশকেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এই ভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার স্তরে বড় ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি করছে এবং সামাজিক বৈষম্যও বাড়াচ্ছে, এমনটি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।


f


বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ি মাদ্রাসা, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি কারিকুলাম অনুসরণ করে, যা সাধারণ শিক্ষা কারিকুলাম নামে পরিচিত। অন্যদিকে, বেসরকারি বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোতে কিছু অতিরিক্ত বিষয়ও পড়ানো হয়। এবতেদায়ি মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ নিজস্ব কারিকুলাম অনুসরণ করে, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা বিশেষ গুরুত্ব পায়।

এ ধরনের পার্থক্যের কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার স্তরে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা জরুরি, যাতে সামাজিক বৈষম্য দূর করা যায় এবং জাতীয় ঐক্য গড়া সম্ভব হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু হলে সামাজিক বৈষম্য কমে যাবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতা সৃষ্টি হবে। এজন্য সরকারকে আইন প্রণয়ন ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

Post a Comment

0 Comments