এস আলমের তিনটি বাড়িতে চুপচাপ নীরবতা, বন্ধ বাংলোবাড়ির কার্যক্রম।

 এস আলমের তিনটি বাড়িতে চুপচাপ নীরবতা, বন্ধ বাংলোবাড়ির কার্যক্রম।


বাংলাদেশের এক ডজন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা তুলে নেওয়া এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) তিন বাড়িতেই এখন সুনসান নীরবতা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস আলমের পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িগুলোয় ফেরেননি। আগে এস আলম গ্রুপ ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা নিয়মিত যাতায়াত করলেও এখন সেদিকে পা ফেলছেন না। এসব বাসা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দামি গাড়িগুলো। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদেরও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাড়ি চট্টগ্রাম শহরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায়, অন্যটি চট্টগ্রামের পটিয়ায় গ্রামের বাড়ি। আরেকটি রাজধানীর বনানীর ওল্ড ডিওএইচএস এলাকায়। এদিকে চট্টগ্রামের পটিয়ার আজিমপুরে প্রায় ৫০ একর জমির ওপর বিলাসবহুল বাংলোবাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন এস আলম। সরকার পতনের পর এক মাস পর্যন্ত এর নির্মাণকাজ চলছিল। এরপর তা বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে এস আলমের সাত ভাইয়ের জন্য সাতটি বাড়ির মূল কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। পাশাপাশি প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া লেকের জন্যও কাঠামো প্রস্তুত হয়েছে। তাঁদের চারটি বাড়ি সরেজমিন পরিদর্শনে ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কে এই এস আলম সাইফুল আলমের জন্ম ১৯৬০ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। তাঁর বাবা মোজাহেরুল আনোয়ার ও মা চেমন আরা বেগম। সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে এস আলম চতুর্থ। তাঁর মামা শিল্পপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁর মামাতো ভাই। মামার সহযোগিতা নিয়ে ১৯৮৫ সালে কর্ণফুলী নদীর তীরে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। পটিয়ার স্থানীয় লোকজন জানান, টিনের এজেন্ট হিসেবে যাত্রা করে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা করেন সিমেন্ট, ভেজিটেবল অয়েল, স্টিল, কুলার রিলিফ, চিনি পরিশোধনাগার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও অনেক ব্যবসা। ২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপের কাছ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ যায় এস আলম গ্রুপের কাছে। তখন থেকে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম নিজেই, পাশাপাশি আভিভা ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি।


 ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে একে একে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকও তাঁর পরিবারের নিয়ন্ত্রণে যায়। এ সুযোগে ৯ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বের করে নেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে তোলেন সম্পদ। ব্যাংক দখল ও ঋণ নিতে ব্যবহার করেন নিজের পরিবারের সদস্য ও তাদের ছেলেমেয়ে ও জামাইদের নাম ব্যবহার করা হয়। ফলে পুরো পরিবারকে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। যদিও এস আলমের ভাইদের মধ্যে আবদুস সামাদ ওরফে লাবু ছাড়া অন্যরা ব্যবসায় তেমন সক্রিয় নন। আবদুস সামাদ লাবু ছিলেন আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। সরকার পরিবর্তনের পর সব ব্যাংক এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে, গ্রাহকদের টাকা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব ব্যাংকের প্রকৃত ক্ষত ও টাকার গন্তব্য বের করতে কাজ করছে তিন বৈশ্বিক হিসাবরক্ষণ ফার্ম। সেই ফার্মগুলো হলো ইওয়াই, ডেলয়েট ও কেপিএমজি। অন্যদিকে নিজেকে এখন সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করেছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম। বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা’ নিচ্ছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে তাঁর সুরক্ষা প্রাপ্য বলে মনে করেন সাইফুল আলম। এ বিষয়ে সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের আইনে কেউ নাগরিক হলে অন্য দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়। ফলে এস আলমও একই পথে হেঁটেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক লুটপাট করেছেন এস আলম। দেশে তাঁর বাড়ি, কলকারখানাসহ যেসব সম্পদ আছে, তা ক্রোক করলেও লুটপাটের ১০ শতাংশ অর্থ আদায় হবে না। দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে সাইপ্রাস ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশ সরকার চাইলেও তাঁর বিরুদ্ধে কতটা ব্যবস্থা নিতে পারবে বা অর্থ উদ্ধার করতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ জন্য যেসব দেশে তাঁর সম্পদ রয়েছে, সরকারকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে অর্থ আদায়ের পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া সময়ক্ষেপণ ও টাকা খরচ ছাড়া আর কিছুই হবে না।’ পটিয়ায় এস আলমের আদি বাড়ি। পটিয়ায় এস আলমের আদি বাড়ি।ছবি প্রথম আলো শূন্য পটিয়ার বাড়ি পটিয়া উপজেলা থেকে ৬৫০ মিটার দূরত্বে এস আলমের আদি নিবাস। গত বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, চারতলা বাড়ির সামনে বড় পুকুরের সঙ্গে বাঁধানো ঘাট। পুকুরের পাড়ে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীদের বসার ব্যবস্থা। বাড়ির ভেতরে নারকেলগাছ ও দেশীয় ফলের একাধিক গাছ। বাড়িতে তালা ঝোলানো, কথা বলার কেউ নেই। বাড়ির সামনের সড়কটির পটিয়া পৌরসভার উদ্যোগে সরকারিভাবে নামকরণ করা হয়েছে ‘এস আলম বাড়ি সড়ক’। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সড়কটি উদ্বোধন করেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোফরান রানা ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ইয়াছমিন আকতার। আমরা যখন বাড়ির সামনে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করলাম, তখন আশপাশের অনেকেই এগিয়ে এলেন। তবে তাঁরা কেউ নিজেদের নাম বলতে রাজি হলেন না। তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, এটি কার বাড়ি। স্থানীয় ভাষায় তাঁদের সারল্য জবাব, ‘এস আলম সাহেবের।’ তাঁরা জানান, অনেক আগে গ্রামে এলেও করোনাভাইরাসের পর গ্রামে যাননি। 


ff f

যেবারেই গেছেন, প্রতিবার অনেক মানুষ তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য এসেছেন। তাঁদের অনেকেই সাহায্য পেয়েছেন। এখন শোনা যাচ্ছে, এস আলম অনেক মানুষের টাকা মেরে পালিয়েছেন। দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এস আলমের গ্রামের বাড়ির ২০০ মিটারের মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ উদ্দিনের বাড়ি। চারতলা বাড়িটিতে কেউ নেই। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনিও। চট্টগ্রামের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এস আলম পরিবারের সাত তলা আবাসিক ভবন। চট্টগ্রামের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এস আলম পরিবারের সাত তলা আবাসিক ভবন।ছবি প্রথম আলো নগরীর বাড়িতেও একই চিত্র এস আলম পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে ব্যবসা শুরুর পর নগরীতে বাড়ি তৈরি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে আমরা গেলাম চট্টগ্রাম শহরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এক নম্বর সড়কের এস আলম হাউসে। সাততলা বাড়ির প্রধান ফটক আটকানো। বাড়ির ফটকের কড়া নাড়তেই সাহাব উদ্দিন নামের একজন খুললেন। স্থানীয় ভাষায় কথা বলা শুরু করলে তিনি প্রহরীর কক্ষে বসতে দিলেন। কথা প্রসঙ্গে জানান, সাত ভাইয়ের জন্য সাততলা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তিনতলায় থাকতেন এস আলম। পাশের দোতলা ভবনে নিরাপত্তাকর্মী, চালক ও অতিথিদের রাতে থাকার ব্যবস্থা আছে। এখন দুটো বাড়ির পুরোটাই ফাঁকা। দুজন গৃহকর্মী বাড়ি পরিষ্কার করার জন্য রয়েছেন। দেখা গেল, বাড়ির নিচে একটি গাড়ি ঢাকা দেওয়া আছে। আরেকটি গাড়ি সমস্যা দেখা দেওয়ায় চালক তা ওয়ার্কশপে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেল। আরও কয়েকটি গাড়ি ছিল, সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এস আলম সেই বাসায় এলে পুরো সড়কে চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন পড়ে যেত। আগে দিনে কমপক্ষে ২০০ মানুষের খাবার তৈরি হতো বাড়িটিতে। নিরাপত্তার জন্য ছিলেন ১০ জন আনসার সদস্য। এ ছাড়া কাজ করতের আরও ১০ থেকে ১৫ জন কর্মচারী। সরকার পরিবর্তনের পর সবই বন্ধ হয়ে যায়। চলে যান আনসার সদস্য ও অন্যরাও। ঢাকার বাড়িও ফাঁকা আজ সোমবার আমরা গেলাম রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের মসজিদ সড়কের এস আলমের বাসায়। ৯২ নম্বর বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় দুটি ফ্ল্যাট আছে পরিবারটির। প্রতিটির আকার ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুট। একটিতে থাকতেন এস আলম নিজে, আরেকটিকে তাঁর জামাই ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ। বাড়িটির একাধিক প্রতিবেশী জানান, বাসার নিচে তাঁদের দুটি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। দেখা গেল, একটি মিতসুবিশি এক্সপান্ডার সেখানে পড়ে রয়েছে। আরেকটি সাদা রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ি ছিল, সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাসার নিরাপত্তাকর্মী মো. সেলিম জানান, দুই বাসায় কেউ নেই। গত অক্টোবরে এস আলমের মা চেমন আরা বেগম এই বাসাতেই মারা যান। তখন কয়েকজন গৃহকর্মী ও কর্মচারী ছিল। সরকার পতনের দুই মাস আগে এস আলম ও তাঁর জামাই এসেছিলেন। এরপর তাঁদের পরিবারের কেউ বাসায় যাননি। মা মারা যাওয়ার পর পুরো বাসাই ফাঁকা। এমনকি বাসার সার্ভিস চার্জ কেউ দিতে আসছেন না, অর্থ বিকাশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিবেশীরা জানান, এস আলমের এই বাসায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেকের যাতায়াত ছিল। আগে নিয়মিত বসবাস করলেও ২০১৮ সালের পর তিনি দেশে এলে দু–তিন দিনের বেশি থাকতেন না। তখন দেখা করার জন্য বাসায় মানুষের লাইন পড়ে যেত। চট্টগ্রামের পটিয়ায় এস আলমের নির্মাণাধীন বাংলো বাড়ি। যেখানে রয়েছে সাতটি পৃথক বাড়ি। সরকার পরিবর্তনের পর বন্ধ হয়ে গেছে নির্মাণ কাজ। চট্টগ্রামের পটিয়ায় এস আলমের নির্মাণাধীন বাংলো বাড়ি। যেখানে রয়েছে সাতটি পৃথক বাড়ি। সরকার পরিবর্তনের পর বন্ধ হয়ে গেছে নির্মাণ কাজ।ছবি প্রথম আলো বন্ধ পটিয়ার বাংলোবাড়ির কাজ গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় আমরা গেলাম পটিয়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে আজিমপুরে। সেখানে প্রায় ৫০ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে এস আলমের বাংলোবাড়ি। সড়কের এক পাশে বাড়ি, অপর পাশে মসজিদ ও গোরস্থানের জন্য রাখা জায়গা। বাংলোবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল তালা ঝুলছে। বাংলোবাড়িতে এস আলমের সাত ভাইয়ের জন্য রয়েছে সাতটি বাড়ি। এর মধ্যে এস আলমের নিজের জন্য তৈরি করা বাড়িটি চারতলাবিশিষ্ট। প্রতিটি তলার আকার ১৫ হাজার বর্গফুট। অন্যগুলো সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স বাড়ি। প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে রয়েছে লেক। প্রস্তাবিত বাংলোবাড়ির সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ এলাকায় গড়ে উঠেছে এই ৭টি বাড়ি। বাকি জায়গা ফাঁকা রয়েছে। জানা গেল, ২০২০ সালে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। শুরুর দিকে মাটি ভরাট ও জমির সীমানা নির্ধারণ করতেই অনেক সময় চলে যায়। এরপর চট্টগ্রাম ও পটিয়ার চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকবার এস আলম তাঁর পরিবার নিয়ে সেখানে বনভোজন করেন। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এক মাস পর্যন্ত কাজ চলে। এরপর বিল না পেয়ে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন প্রায় ২০০ শ্রমিক সেখানে কাজ করতেন। এখন শুধু চারজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। বাংলোবাড়ির সামনে মুদিখানার দোকান করেন মো. তৌহিদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আগে দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার খাবার বিক্রি হতো। এখন তা কমে এক হাজারের নিচে নেমে এসেছে।

Post a Comment

0 Comments