জোট থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে।

 জোট থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর মধ্যে জোটবদ্ধতা থাকলেও, প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা নিজ-দলের প্রতীকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। একই সঙ্গে, কোনো আসনে যদি একমাত্র প্রার্থী হয়, তাহলে সেখানে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না — ভোটারদের ‘না’ ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে। ২০১৪ সালের পাতানো নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি প্রার্থী হতে পারবেন না।

এই সব বিধান রেখে সংশোধিত Representation of the People Order (RPO) অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সূত্র বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে; ভিআরএম ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ff f

এদিকে, Bangladesh Nationalist Party (বিএনপি)-র এক শীর্ষ নেতা আগেই আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব করেছিলেন — জোটবদ্ধ হলেও প্রার্থীরা নিজের-নিজ দলীয় প্রতীকে বা জোটের বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। আইন উপদেষ্টা তখন মৌখিক সম্মতি দিয়েছিলেন; কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে RPO অনুমোদনের পর বিষয়টি আবার তোলা হয়। আইন উপদেষ্টা বলছেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে বিষয়টি সংশোধন করে ফের প্রস্তাব করলে তা বিবেচনায় আনা যেতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, সংশোধিত RPO অনুমোদন পেলেও বিষয়টি নিয়ে নতুন ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে।

ब्रিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন: র‍্যাঙ্ক অ্যাস্ট্রাকচারে (law enforcement agency) তিন বাহিনী—সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী—কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়ম হলে কোনো একটি আসনের ভোট পুরোপুরি বাতিল করার নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের হলফনামায় (এফিডেভিট) দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জামানতের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান বাতিল করা হয়েছে। এই সংশোধিত নীতিগুলো ‘না’ ভোটের ব্যবস্থাসহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারক ভূমিকা রাখবে।

Post a Comment

0 Comments