বিএনপি ও জামায়াতের পার্থক্য কম, অনিশ্চিত ভোটার বেশি
বাংলাদেশে ১৮-৩৫ বছর বয়সী তরুণরা মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি তাদের ওপর করা একটি জরিপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (BYLC)। তারা ইংরেজি, বাংলা ও মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব-প্রশিক্ষণ দেয়।
জরিপটি ১০ থেকে ২১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত করা হয় এবং এতে ২,৫৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন, যাদের র্যান্ডম নমুনা পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয়েছিল। (
যদিও জরিপ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে — বিশেষ করে যে মাত্র হাজার-দু’হাজার লোকের উত্তর দিয়ে পুরো দেশের রাজনৈতিক চিত্র বোঝা যায় কি না — এটি প্রামাণিক তথ্য দিতে পারে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিগন্যাল বোঝার ক্ষেত্রে
ff f
এই জরিপের কিছু প্রধান দিক তুলে দেওয়া হলো:
-
ভোটদানের প্রবণতা
বেশিরভাগ তরুণ (প্রায় ৮৯%) নিবন্ধিত ভোটার এবং ৯৭% তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। BNP ও জামায়াত-এর সমর্থন জরিপের ফল অনুযায়ী, প্রায় ১৯.৬% তরুণ BNP-কে এবং ১৬.৯% জামায়াতে ইসলামিকে সমর্থন জানাচ্ছেন — দু’দলের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম।
-
অনিশ্চিত ভোটার ও নীরব ভোটার
প্রায় ৩০% তরুণ এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কোন দলকে ভোট দেবেন।আরও ১৭.৭% ভোটার তাদের পছন্দ প্রকাশ করতে চাননি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই নীরব-অপ্রকাশিত ভোটারদের মধ্যে কিছু অংশ ঘোর পরিবর্তন করে, তাহলে তা রাজনৈতিক ব্যালেন্সে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
-
দলগত পার্থক্য ও গঠনগত চ্যালেঞ্জ
-
জামায়াত ও BNP-এর সমর্থন খুব কাছাকাছি — পার্থক্যটি জরিপের সম্ভাব্য ভুল (margin of error) এরও মধ্যে পড়তে পারে।
-
আওয়ামী লীগ তরুণদের মধ্যে তুলনায় কম জনপ্রিয়তা পাচ্ছে (প্রায় ৯.৫%)। নতুন গঠিত ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি (NCP) সমর্থন পেয়ে আছে, যদিও মাত্র ৩.৬% অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে।
-
-
রাজনৈতিক ভবিষ্যতের অর্থ
এই জরিপ দেখায় যে ভৌগোলিকভাবে এবং পলিটিক্যালভাবে তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক লয়্যালিটি এখনো পুরোপুরি গঠিত হয়ে উঠেনি — অনেকেই সিদ্ধান্তহীন এবং এটি আগামী নির্বাচনে বড় ভ্যারিয়েবিলিটি (পরিবর্তনশীলতা) নির্দেশ করে।
0 Comments