# ইহুদি তরুণীর ছাগল আল-আকসায় প্রবেশের আগেই মারা যায়

এক ইহুদি তরুণীর ছাগল আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের আগে মারা যায়। ঘটনাটি আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথে ঘটে।


 ### আল-আকসা: তিন ধর্মের পবিত্র স্থান এবং বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু


আল-আকসা বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান। এই স্থানকে কেন্দ্র করে ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের মধ্যে রয়েছে গভীর আবেগ ও সম্মান। এই তিন ধর্মের অনুসারীরা আল-আকসাকে তাদের ধর্মীয় উপাসনার স্থান হিসেবে মনে করে। ফলে যুগ যুগ ধরে এই স্থানটি বিবাদের ইস্যু হয়ে আছে। বর্তমানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-আকসা ঘিরে রেখেছে।

আল-আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে যেমন ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে, তেমনি এটি ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি ও জাতীয়তার প্রতীক। ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের কাছেও আল-আকসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই এটি যুগ যুগ ধরে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ইহুদিরা নানা সময় নানা কৌশলে আল-আকসা দখলের চেষ্টা করেছে, তবে সফল হয়নি।


সম্প্রতি আল-আকসায় অবাক করা এক ঘটনা ঘটেছে। এক ইহুদি তরুণী ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বার ভান করে তার জামার নিচে ছাগলটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার (২২ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

a aa

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণী প্রবেশের সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা ছাগলের ডাক শুনতে পান এবং তরুণীর জামার নিচে কিছু একটা নড়তে দেখেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ছাগলটি পবিত্র আল-আকসায় প্রবেশের আগেই মারা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দমবন্ধ হয়ে ছাগলটি মারা যায়।


প্রশ্ন হলো, কেন ইহুদি তরুণী ছাগল নিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন? তদন্তে জানা যায়, এটি যুগ যুগ ধরে আল-আকসা দখলের যে প্রচেষ্টা চলছে, তারই অংশ। ইহুদিদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের আগে উগ্রবাদী ইহুদিরা জেরুজালেম শহরের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রাণী বলি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। তাদের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে স্পর্শকাতর স্থাপনাটি তাদের পূর্ণ দখলে নেওয়াটা আরও সহজ হবে।

aa a

আল-আকসা পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল-আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।


ইহুদিরা বিশ্বাস করে, আল-আকসাই ছিল তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিলেন, যা ধ্বংস করেছিল ব্যাবিলনীয়রা। দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল, যা একই সঙ্গে ধ্বংস হয়।

Post a Comment

0 Comments