ঢাকা মেডিকেলে আরও দুইটি মরদেহ পাওয়া গেছে, সারা দেশে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

 ঢাকা মেডিকেলে আরও দুইটি মরদেহ পাওয়া গেছে, সারা দেশে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষ চলার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুইজনের মরদেহ এসেছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একজনের নাম মোহাম্মদ, তাকে আজিমপুর থেকে আনা হয়েছে। অন্যজনের নাম নাজমুল, যাকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আনা হয়েছে। মোহাম্মদের শরীরে ছররা গুলির ক্ষত দেখা গেছে, আর নাজমুলের শরীরে রয়েছে কোপের আঘাত।

নাজমুলের স্বজনরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে দাবি করেছেন, নাজমুল একজন ব্যবসায়ী। ঘটনার দুই ঘণ্টা আগে তিনি বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, তারপর সংঘর্ষের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে তাহমিদ তামিম (১৫) ও মো. ইমন মিয়া (২২) নামে দুজন মারা গেছেন। সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর নরসিংদী সদর হাসপাতালে ইমন এবং জেলা হাসপাতালে তাহমিদের মৃত্যু হয়েছে।


চট্টগ্রাম নগরেও সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার হাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের মধ্যে তারা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের একজন পটিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র মোহাম্মদ ইমাদ (১৮), আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স ২২ বছর।

বিকেলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার।

এই ছয়জনকে নিয়ে আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। অন্য দুজনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। একজনকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগ


Post a Comment

0 Comments