"সংকটের অন্যতম নির্মাতা"
"একজন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তি, যিনি অত্যন্ত পরিশীলিত ও স্মার্ট। তার কথা বলার স্টাইল মুগ্ধকর এবং চলাফেরার ধরন আকর্ষণীয়। কিন্তু অভিযোগের তীর তার দিকে। বলা হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তার অন্যতম প্রধান স্থপতি হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। তার একটি রায়ের কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
তবে, খায়রুল হক কোনোভাবেই থেমে থাকেননি। দীর্ঘদিন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন, যদিও আগস্টের ঝড়ে সে পদও হারিয়েছেন এবং পদত্যাগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে চলমান আলোচনা থামছে না। আইন বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করছেন, অবসরের ১৬ মাস পর রায় পরিবর্তন করা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ।
ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি চলছে এবং বিভক্ত বাংলাদেশি সমাজের শীর্ষ আইনজীবীরা একমত যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী টিএইচ খান সতর্ক করেছিলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হলে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সে সতর্কতা উপেক্ষা করে বিভক্ত রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দুই মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখার পথ খোলা ছিল, খায়রুল হক ১৬ মাস পর যে রায় দেন, তাতে এই অংশ রাখা হয়নি। এর ফলে, তাকে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুসরণের অভিযোগ করা হয়।
f ff
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী এবং হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এ রায়কে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিচারপতি খায়রুল হকের এই রায় সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দেয় এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দেয়। পরবর্তী নির্বাচনগুলোর বিতর্ক ও সংঘাতের ফলাফল ছিল স্পষ্ট।
মাহবুব তালুকদার তার বইতে উল্লেখ করেন যে, খায়রুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির অস্থিতিশীলতার প্রধান স্থপতি। তার রায় সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দেয়, কিন্তু নতুন আইনি কাঠামো প্রবর্তন না করে।"

0 Comments