**শেখ হাসিনা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে।**
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে বুধবার (২১ আগস্ট) জানা যায়, দুই-এক দিনের মধ্যেই সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের আদেশ জারি করা হবে।
যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপির নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কেবল আদালতের নির্দেশ পেলেই তারা সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। ইতোমধ্যে তার সরকারের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তার হয়েছেন, এবং কেউ কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে সরকার পতনের আগেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।
mm
m
ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা লাল পাসপোর্টধারী ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা অনুযায়ী, এই পাসপোর্টের মাধ্যমে তিনি দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই ভারতে থাকতে পারবেন। ৫ আগস্ট তিনি ভারতে প্রবেশ করেন, এবং ভারতীয় আইনের অধীনে তিনি আর ২৯ দিন সেখানে থাকতে পারবেন, যদি না তার পাসপোর্টটি বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী হওয়ায় তিনি অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা নিয়ে ভারতে যতদিন খুশি থাকতে পারবেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রী-এমপিরা সংসদের মেয়াদ অর্থাৎ পাঁচ বছরের জন্য লাল পাসপোর্ট পান। সংসদের মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়ে যায়। তবে সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা যদি ফৌজদারি মামলার আসামি হন, তাহলে সাধারণ পাসপোর্ট পেতে তাদের আদালতের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়।

0 Comments