সচিবালয়ের সামনে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে গেলেন আমীরে জামায়াত।

 সচিবালয়ের সামনে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে গেলেন আমীরে জামায়াত।

ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।" 

২৬ আগস্ট সোমবার আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সচিবালয়ের সামনে আনসারদের বিক্ষোভের সময় গুরুতর আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি আহতদের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন ও কামাল হোসেন প্রমুখ।

হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "৫ আগস্ট দেশে পট পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার সচিবালয়ে আন্দোলনের সময় কিছু আনসার সদস্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঢুকে পড়ে। যারা জীবন দিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, বুলেটের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পালাতে বাধ্য করেছিল, সেই ছাত্ররা এসেছিল তাদের কথা শুনতে। কিন্তু তারা সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে ছাত্রদের ওপর আঘাত করে, ফলে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকে আহত হন। আমি আশা করি, আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করবেন।"

f f


তিনি আরও বলেন, "একটি গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, এজন্য গোটা জাতিকে সজাগ থাকতে হবে। বিভিন্ন মহলের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নতুন উপদেষ্টা পরিষদ মাত্রই দায়িত্ব নিয়েছে। এতদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এতদিন দাবি জানাননি কেন? তাদের কাজ করার সুযোগ দিন।' তিনি বলেন, 'সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য্য ধরেছেন, আরও কিছুটা সময় ধৈর্য্য ধরুন। তাদের কাজ গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিন। এ ধরনের কার্যক্রম জনগণ মেনে নেবে না। এ ধরনের দুঃসাহস আবার দেখালে জনগণ ক্ষমা করবে না।' তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন কোনো ষড়যন্ত্রে পা না দেন।"

প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, "এটা একটি দায়িত্বপূর্ণ ভাষণ হয়েছে। আমি আশা করি, এতে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এবং দেশবাসীর আশা পূরণ হবে।"


Post a Comment

0 Comments