"পদত্যাগের ঢল"

 "পদত্যাগের ঢল"

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের পদত্যাগের হিড়িক চলছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিত্র পরিবর্তিত হতে থাকে। দলীয় মনোভাবাপন্ন ভিসিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে, যার ফলস্বরূপ বা তাদের নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করতে শুরু করেন ভিসিরা। সর্বশেষ পদত্যাগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল। ভিসি ছাড়াও প্রশাসনিক পদে থাকা শিক্ষকরাও একে একে পদত্যাগ করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার জানাচ্ছে, অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল গতকাল পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া সাতটি হলের প্রভোস্টও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হল এবং শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অন্তর্ভুক্ত।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদও পদত্যাগ করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ভিসি ফরিদের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল আরও আগে, কিন্তু তিনি তখন পদত্যাগ করেননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টর এবং হল প্রভোস্টদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং তিনটি আবাসিক হলের প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেছেন।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রক্টরসহ ৯ জন কর্মকর্তার পদত্যাগ হয়েছে। পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রক্টর অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক এবং বেশ কয়েকজন প্রভোস্ট রয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসানও পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামও পদত্যাগ করেছেন।

f ff

এছাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রশাসনিক পদে পরিবর্তন এসেছে এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।