এস আলমের ৪টি ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকে টাকা জমা রেখে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।

এস আলমের ৪টি ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকে টাকা জমা রেখে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।


সরকারি, আধাসরকারি, বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিলে থাকা টাকার ৭৫ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এবং ২৫ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে জমা রাখার আইন পরিবর্তন করে চার বছর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৫০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫০ শতাংশ অর্থ জমা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ নির্দেশনার পর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চাপ শুরু হয়, যা নানা প্রভাবে বড় বড় সংস্থার টাকা জমা নিতে শুরু করে। এতে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকা বেসরকারি ব্যাংকের ভল্টে জমা হতে থাকে, যা পরে বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এই পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের বিপদে পড়েছে।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি ব্যাংকে বন্দরের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আটকা পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য সরকারি সংস্থার টাকাও আটকা পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় ধরে এই টাকা উত্তোলনে অক্ষম হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে। একাধিক ব্যাংক থেকে সাড়া না পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। 

m mm

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তহবিলে কয়েক হাজার কোটি টাকা রয়েছে, যা বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে চারটি ব্যাংকের মধ্যে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলিতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা আছে। এ টাকা নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে এবং এখন ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছে না।

বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলোর ঋণ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানেও সমস্যা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ওমর ফারুক দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, এফডিআরের টাকা ফেরত পাওয়ার অধিকার থাকলেও ব্যাংকগুলো সাড়া দিচ্ছে না, যা বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।

Post a Comment

0 Comments