এস আলমের নির্দেশে সাদা স্লিপে টাকা সরানো হতো।

এস আলমের নির্দেশে সাদা স্লিপে টাকা সরানো হতো। 

ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের নতুন নতুন কৌশল প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেছে, চেক বা পে-অর্ডারের পরিবর্তে ‘সাদা কাগজে হাতে লেখা স্লিপ’ দিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইসলামী ব্যাংকের হেড অফিসের করপোরেট শাখায় হাতে লেখা একটি স্লিপে ৪৮ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা এস আলমের নির্দেশে অ্যানন টেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। ব্যাংকের তৎকালীন ডিএমডি আকিজ উদ্দিনের নির্দেশে এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়, তবে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এর বিরোধিতা করেন এবং তার পরিণতিতে তাকে বদলি করা হয়।

m mm

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের শেষের দিকে এস আলম গ্রুপ এই অভিনব পদ্ধতিতে বড় অঙ্কের টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া শুরু করে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় শাখাগুলোতে হাতে লেখা স্লিপ দিয়ে টাকা নেওয়া হতো, যা কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই সরাসরি ক্যাশ হিসাবে প্রদান করা হতো। এ প্রক্রিয়ায় ডিএমডি আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিন ও রেজাউল করিমের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

ইসলামী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়ার তথ্য বেরিয়ে আসে। এসব ঋণ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ আদান-প্রদান হয়েছিল বলে জানা যায়।

m mm

এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন সময়ে তদন্ত পরিচালনা করেছে এবং ১১টি প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণের তথ্য চেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাবিল গ্রুপের বেশ কয়েকটি বেনামি কোম্পানির নাম উঠে এসেছে, যারা মুরাবাহা টিআর পদ্ধতিতে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছে।

এছাড়াও, এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) ফান্ড থেকে এবং ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কল্যাণ সমিতির অর্থও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

m mm

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে লোক নিয়োগ, জালিয়াতি, এবং ঋণ জালিয়াতির নানান অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।


Post a Comment

0 Comments