পরিচিত সহকর্মীরা অচেনা হয়ে গেলেন, শিল্পকলা ছাড়লেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রথমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে সহকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ও শিল্পকলার পরিচালক জ্যোতিকা জ্যোতি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্যোতি অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন। বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতির চাপে পরে তিনি একাডেমি ত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০২৩ সালের মার্চে জ্যোতিকে চুক্তিভিত্তিকভাবে শিল্পকলার পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।
শিল্পকলা থেকে বেরিয়ে একটি ফেসবুক লাইভে জ্যোতিকা জানান, গত সরকার তাঁকে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক চাকরির সুযোগ দিয়েছিল, যা এখনো বহাল আছে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তার নিয়োগ বাতিলের কোনো আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাননি।
জ্যোতি বলেন, "চাকরিটা এখনো রয়েছে, তবে গত দুই মাস ধরে অফিসিয়াল কাজ কার্যত বন্ধ। নতুন ডিজি যোগ দিয়েছেন। তাই মনে হলো, এখন অফিসে যাওয়া যায়। যেহেতু চাকরিটা আছে, অফিসে কেন যাব না? সেই ভাবনা থেকেই আসা।"
তবে একাডেমিতে ঢোকার পর সহকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন জ্যোতি। তিনি জানান, সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাঁরা কোনো আলোচনা করতে রাজি হননি এবং তাকে মারমুখীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান। জ্যোতি এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে বলেন, "চেনা সহকর্মীরা অচেনা হয়ে গেলেন।"
ff f
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন জানান, "আমরা তাঁকে অফিস ত্যাগ করতে বলেছি, কারণ তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এমন একজনকে সহকর্মী হিসেবে আমরা চাই না।"
ফেসবুক লাইভে জ্যোতি আরও বলেন, "আমার চাকরি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হয়েছিল বলে অনেকে আমাকে সুবিধাভোগী মনে করেন, কিন্তু চাকরিটা কীভাবে হয়েছে, সেটা আমি জানি।"
f ff
ময়মনসিংহের মেয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি দলটির বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন এবং বিভিন্ন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, যদিও তা পাননি।

0 Comments