এস আলম পরিবারের সদস্যদের সেন্ডেল বুকে বা বগলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেই মানুষেরা আজ আর দেখা যায় না!

 এস আলম জামে মসজিদ

এস আলম পরিবারের সদস্যদের সেন্ডেল বুকে বা বগলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেই মানুষেরা আজ আর দেখা যায় না! 


প্রসঙ্গ: এস আলম জামে মসজিদ


এক সময় শুক্রবার জুমার নামাজে এত বেশি মানুষ হতো যে, মুসল্লীদের জায়গা সংকুলান করতে হিমশিম খেতে হতো। অথচ আজ তিনটি কাতারেই নামাজ শেষ হয়ে যায়।

ইলেকশন যখন সন্নিকটে আসত, এস আলম মসজিদ যেন এক জীবন্ত আউলিয়ার করামত সমৃদ্ধ সোহবতখানা হয়ে উঠত। এস আলম সাহেবের বাবা এবং বড় ভাই মরহুম মোরশেদ সাহেবের কবর দেখিয়ে দিতে দিতেই কেউ কেউ হিমশিম খেতেন, একটু ফয়েজ হাসিলের আশায় জেয়ারত করতেন।


ইল্লিয়িন, আড়ং, লা রিভ ব্র্যান্ডের পান্জাবি পরিহিত, স্যানেল, গুচ্চি, ফ্লোরা, ইভস সাইন্ট লরেন্টের পারফিউমে সুরভিত বড় গলায়ওয়ালা সাহেবরা, যেন মান্নাদের কফি হাউসের সাত বন্ধুর মতো কোথায় হারিয়ে গেছেন।


আমি তখন দূর থেকে আসা ভাই বা মুরব্বিদের জিজ্ঞেস করতাম, "আপনারা বাড়ির পাশের মসজিদে না পড়ে এস আলম মসজিদে কেন আসেন?" তারা গুরুগম্ভীর স্বরে বলতেন, "ইমাম সাহেবের তেলাওয়াত খুব সহিহ!" সেই ইমাম সাহেব আজও আছেন, তাঁর তেলাওয়াতও আগের মতোই আছে, কিন্তু সেই মুসল্লীরা আর নেই।

ff f

এস আলম পরিবারের সদস্যদের সেন্ডেল বুকে বা বগলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেই মানুষেরা আজ আর দেখা যায় না! 


সবচেয়ে বড় কষ্ট হয়, যখন দেখি ফকির-মিসকিনদের লাইনও নেই।


হায়, এই দুনিয়া! 


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন:


**"ওয়ামা হায়াতুদ-দুনিয়া ইল্লা মাতাউল গুরুর।"**


পার্থিব দুনিয়ার জীবন প্রতারণাপূর্ণ, ক্ষণস্থায়ী ভোগের সম্পদ ছাড়া আর কিছুই নয়!  

(সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৮৫)।


নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্যই বলেছেন।

Post a Comment

0 Comments