রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যে কোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন।

 রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যে কোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে থাকা সত্ত্বেও তার মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, বিনিয়োগ, দুবাইতে ব্যবসা এবং সেখানকার রেসিডেন্সি নিয়ে নানা মন্তব্য ও সমালোচনা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা যে কোনো সময় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রের ভিত্তিতে একটি গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনো সময় মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা রাষ্ট্রের উচ্চ পদে নিযুক্ত হতে পারেন।


দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের মামলায় আপিল বিভাগের অধিকাংশ বিচারক যেখানে পদ্ধতিটির বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন, সেখানে ওয়াহহাব মিঞা এর পক্ষে মত দেন। এছাড়াও, যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ে তিনি একমাত্র ভিন্নমত পোষণ করেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশ ছাড়ার পর আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান। তবে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র আড়াই মাস পর, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে ২২তম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই দিনই ওয়াহহাব মিঞা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ff f
১৯৭৬ সালে ওয়াহহাব মিঞা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি স্থায়ী বিচারকের দায়িত্ব পান। এরপর, ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি ও পদত্যাগের পর, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।


Post a Comment

0 Comments