'কোটিপতি গৃহকর্মী' মর্জিনার স্বামী সাদ্দামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

 'কোটিপতি গৃহকর্মী' মর্জিনার স্বামী সাদ্দামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এস আলমের ‘কোটিপতি গৃহকর্মী’ মর্জিনার স্বামী সাদ্দাম হোসাইনকে সাময়িকভাবে ইসলামী ব্যাংকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাঈদ মোল্লাহ এই আদেশ জারি করেন।

আদেশে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনাল অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাদ্দাম অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত ছিলেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাকে অবিলম্বে সাসপেনশনে রাখা হলো। সাসপেনশনের সময় তিনি ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালার অধীনে বেতনের অর্ধেক এবং অন্যান্য ভাতা পাবেন।

f

সাদ্দাম হোসেনকে বরিশাল জোনাল অফিসে সংযুক্ত থাকতে এবং বরখাস্তকালীন সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি এই সময়ে অন্য কোনো চাকরি বা ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না।

এর আগে তিনি চট্টগ্রামের চকবাজার শাখায় সিনিয়র প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্তে মর্জিনা আকতারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসে। ইসলামী ব্যাংক পাঁচলাইশ শাখায় মর্জিনার ২২টি এফডিআর অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ টাকা জমা রয়েছে এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবত্তক শাখায় গত ১২ বছরে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
f ff

মর্জিনা প্রায় এক যুগ ধরে এস আলম পরিবারের চট্টগ্রামের বাসভবনে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মর্জিনার সঙ্গে সাদ্দামের বিয়ে দেওয়ার পর এস আলম সাদ্দামকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেন। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

পরবর্তীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে ইসলামী ব্যাংকে যোগ দিয়ে সাদ্দাম নিয়োগ বাণিজ্যে সক্রিয় থাকেন এবং এস আলম পরিবারের সদস্য আকিজ উদ্দিনের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক উভয়ই এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক উভয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুন পর্ষদ নিয়োগ করেছে।


Post a Comment

0 Comments