.‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পত্রিকার অফিসে অফিসে ৯ দফা পৌঁছে দেয় শিবির’

.‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পত্রিকার অফিসে অফিসে ৯ দফা পৌঁছে দেয় শিবির’


 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ঘোষিত ৯ দফা সম্পর্কে এবার মুখ খুলেছেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন কিভাবে এই ৯ দফা ঘোষণা করা হয়েছিল। কাদের লিখেছেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রশিবির পত্রিকার অফিসে অফিসে ৯ দফা পৌঁছে দেয়।”

fff

তিনি আরও লিখেছেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও সরকারের অযৌক্তিক আচরণের কারণে আন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ৯ দফার সূচনা হয়।”


তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু ১৬ তারিখে আবু সাঈদসহ ৬ জন শহীদ হলে, ওই রাতেই অনলাইন মিটিংয়ে বসি। তখন সবার প্রথম প্রশ্ন ছিল—এই ছয়টি লাশের বিনিময়ে শুধুমাত্র কোটা সংস্কার কি যথেষ্ট? সবাই একবাক্যে বলল, ‘না।’ এরপর দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবি উঠে আসে।”


আব্দুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, “শুক্রবার যাত্রাবাড়ি এলাকায় আন্দোলনের সময় শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি ফরহাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানান যে, কয়েকজন আন্দোলনকারী সমন্বয়ক সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন এবং শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছেন। তখন তিনি কিছু দাবি-দাওয়ার প্রস্তাব দেন, যা নিয়ে আলোচনা করে ৯ দফা চূড়ান্ত হয়।”

fff

তিনি উল্লেখ করেন, “দাবিগুলোর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, ছাত্র হত্যা ঘটনায় জড়িতদের বিচার, এবং লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।”


পোস্টের শেষে তিনি আরও বলেন, “৯ দফা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ছাত্রশিবির। ইন্টারনেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাউজে হাউজে এই দফাগুলো পৌঁছে দেয় এবং বিদেশি সাংবাদিকদের কাছেও তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে।”

Post a Comment

0 Comments