জঙ্গিবাদে অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত নিষিদ্ধ এনজিও পরিচালনা করতেন মনিরুল!
**মনিরুল ইসলাম: ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা**
মনিরুল ইসলাম, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর সাবেক প্রধান এবং অতিরিক্ত আইজিপি, এক সময় ক্ষমতাবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। তার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার থেকে এসবি প্রধানের পদে উন্নীত হওয়া। এই সময়ের মধ্যেই তিনি অল্প সময়ে বিপুল সম্পদের মালিক হন।
### মনিরুলের সম্পদের উৎস
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম জঙ্গি দমনের নামে বেশ কিছু নিষিদ্ধ এনজিওর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন এনজিওর মালিকদের গ্রেপ্তার করে এনজিওগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন। এই এনজিওগুলোর মধ্যে অন্যত ম ছিল কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি, যা পরবর্তীতে কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ নামে পরিচিত হয়, এবং শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল।
fff
এনজিওগুলোর মাধ্যমে মনিরুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্য থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেন, যা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের নামে ব্যবহৃত হয়। তার শ্যালক রেজাউল আলম শাহীন এই কার্যক্রমে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
### জঙ্গি অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এনজিওগুলোর সঙ্গে মনিরুল ইসলামের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক এসব এনজিওর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এসব এনজিওকে জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করে।
### ক্ষমতার অপব্যবহার ও সম্পদের দখল
মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, বাড়ি দখল, ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অর্থ আদায়, এবং টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। তার স্ত্রী শায়লা ফারজানার প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় জমি ও রিসোর্ট কেনার অভিযোগও রয়েছে।
### সাংবাদিক নির্যাতন ও আইনি হয়রানি
মনিরুল ইসলামের নির্দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও আলোচিত। ২০২১ সালে সাংবাদিক নুজহাতুল হাচানকে ডিবি তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
### বিদেশে সম্পদ ও ব্যবসা
মনিরুলের ছেলে লন্ডনে বসবাস করেন এবং সেখানে পরিবারের বিপুল সম্পদ ও ব্যবসা পরিচালনা করেন। লন্ডনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে মনিরুলের বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
### টেন্ডারবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার
মনিরুল ইসলামের শ্যালক রেজাউল আলম শাহীন পিডব্লিউডির টেন্ডার বাণিজ্যে বিশাল প্রভাব খাটিয়েছেন। মনিরুলের দুলাভাই কাজী সফিকুল আলম গাজীপুরে এসপি থাকাকালীন সময়ে জমি দখল ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত।
ff f
এই অভিযোগগুলো মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিশাল একটি দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে তার ক্ষমতা ও প্রভাবের মাধ্যমে আড়াল করা হয়েছে।

0 Comments