এই বক্তব্যে অনড় থাকলে তাঁর রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, তা উপদেষ্টামণ্ডলী বিবেচনা করবেন।

 এই বক্তব্যে অনড় থাকলে তাঁর রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, তা উপদেষ্টামণ্ডলী বিবেচনা করবেন।


আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য 'মিথ্যাচার'। তাঁর মতে, এই বক্তব্য রাষ্ট্রপতির শপথ লঙ্ঘনের শামিল। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি তাঁর অবস্থানে অনড় থাকেন, তবে তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদকে ভাবতে হবে।

সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নজরুল এসব কথা বলেন। তিনি মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ মন্তব্য করেন। নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, যা আসলে মিথ্যাচার। কারণ, ৫ আগস্ট রাতে তিনি নিজেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।


নজরুল আরও উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং তাঁর অবস্থানে স্ববিরোধিতা রয়েছে। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু আড়াই মাস পর উল্টো কথা বলছেন, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছিল, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র উল্লেখ করা হয়েছিল।

f ff

অধ্যাপক নজরুল বলেন, এ ধরনের স্ববিরোধী বক্তব্য রাষ্ট্রপতির মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করে। 

Post a Comment

0 Comments