"ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন?"
দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ছিল 'ওবায়দুল কাদের কোথায়'। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন—দেশে না বিদেশে—এ নিয়ে বিভ্রান্তি ও নানা আলোচনা চলছে। এদিকে, তিনি আওয়ামী লীগে তাঁর সাংগঠনিক অবস্থান হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবে তাঁর নামে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও এমপিসহ অনেক নেতা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন। বেশিরভাগ নেতা ভারতে অবস্থান করছেন, এবং অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। তবে ওবায়দুল কাদের গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সঠিক অবস্থান এখনও পরিষ্কার নয়। ভারতে অবস্থানকারী নেতাদের মতে, কাদের সে দেশে যাননি।
কিছু সূত্রের দাবি, ওবায়দুল কাদের দুবাইয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন, আবার কেউ বলছেন তিনি সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডে আছেন। অন্যদের ধারণা, তিনি দেশেই আছেন এবং সীমান্তবর্তী কোনো জেলায় অবস্থান করছেন, সুযোগ পেলে যে কোনো সময় ভারতে চলে যাবেন। সবমিলিয়ে, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরাও তাঁর অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন।
f ff
ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা এবং বেলজিয়ামে আত্মগোপনে থাকা নেতারাও ওবায়দুল কাদেরের সন্ধান করছেন। গণঅভ্যুত্থানের পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হলো, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই ওবায়দুল কাদেরকে দায়ী করছেন। তাঁদের মতে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁর বড় দায়িত্ব ছিল, কিন্তু তিনি নিজেকে 'একক কর্তৃত্বের' জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি এখন আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না।
ভারতে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের সঙ্গে তাঁর দেখা হলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সমকালের কাছে কয়েকজন নেতা জানান, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী এক সাবেক মন্ত্রী ভারতে আওয়ামী লীগ নেতাদের রোষের শিকার হয়েছেন। ওবায়দুল কাদেরের ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটলে তা অবাক করার মতো হবে না।
f ff
ওবায়দুল কাদেরের আশেপাশে থাকা অন্তত সাতজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা, তিনজন সাবেক মন্ত্রী ও একজন উপদেষ্টার কারণে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের দূরত্ব বেড়েছিল। তাঁদের প্রভাবের কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দলের পরিস্থিতি নিয়ে মতামত জানাতে পারেননি।
0 Comments