শাকসবজিও এখন বিলাসী পণ্য

শাকসবজিও এখন বিলাসী পণ্য


সবজির বাজারে যেন লাগাম টানা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নতুন করে কয়েকটি সবজির দাম আরও বেড়েছে, ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে চলে গেছে। হাতে গোনা তিন-চারটি সবজি ছাড়া বাকিগুলোর দাম বেশ চড়া। শুধু শহর নয়, উৎপাদন এলাকাগুলোতেও শাকসবজির দাম বেশ উঁচুতে। এতে সীমিত আয়ের মানুষের কাছে সবজিও এখন বিলাসী পণ্য হয়ে উঠেছে। তবে কিছুটা কমেছে চিনি, ডিম ও গরুর মাংসের দাম। অন্যদিকে, চাল, ডাল ও তেলের মতো নিত্যপণ্যের দাম আগের উচ্চ পর্যায়ে রয়ে গেছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এক ধরণের সংকট তৈরি করেছে।

m mm

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, কৃষক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর অসময়ের টানা বৃষ্টিতে সবজির চারা ও ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে। পাশাপাশি আগাম শীতকালীন সবজি চাষের জন্য জমি পতিত রাখা হয়েছে, যা উৎপাদন কমার অন্যতম কারণ।

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এক সময় সবজির দাম তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছিল, যা অল্প কিছুদিন স্থায়ী ছিল। এরপর থেকেই আবার পুরোনো উচ্চমূল্যের ধারায় ফিরে এসেছে সবজির বাজার। সরকার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, টানা বৃষ্টি দাম বৃদ্ধির মূল কারণ। তবে বাজারে তদারকি অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু পণ্যের দাম কমাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

m mm

ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র চারটি সবজি ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে। ঢ্যাঁড়শ, পটোল, পেঁপে এবং মুলার দাম কিছুটা কম থাকলেও বাকী সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে। যেমন, বরবটি ও গোল বেগুনের দাম এক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, কাঁচামরিচের দাম ৩০০ টাকার ওপরে ওঠে গেছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে সরবরাহ কমে গেছে। উৎপাদন এলাকার কৃষকরাও উচ্চ মজুরি দেওয়ার কারণে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন।

m mm

অন্যদিকে, আমদানির উদ্যোগ এবং শুল্ক কমানোর কারণে ডিম ও গরুর মাংসের দাম কিছুটা কমলেও চাল, ডাল এবং পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। ভোক্তাদের দুর্ভোগ কমাতে সরকার বাজার তদারকিতে জোর দিচ্ছে, তবে মূল্যবৃদ্ধির স্থায়ী সমাধান এখনো অনিশ্চিত।

Post a Comment

0 Comments