আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বিরুদ্ধে ৯ জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

 আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বিরুদ্ধে ৯ জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও মেজর রাশেদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেন। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে এসে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৩ বছর ধরে আমি ও আমার পরিবার হয়রানির শিকার হয়ে আসছি। একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করলাম। একটি মামলায় এ যাবত পাঁচবার নারাজি দিয়েছি এবং দুই/তিনবার রিভিউ আবেদন করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা পাইনি।’ ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা লিমনকে গুলি করে। ওই ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ওই বছরের ১০ এপ্রিল একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই মামলায় বরিশাল র‌্যাব-৮ এর উপ-সহকারী পরিচালক ডিএডি লুৎফর রহমান, কর্পোরাল মাজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. আব্দুল আজিজ, নায়েক মুক্তাদির হোসেন, সৈনিক প্রহ্লাদ চন্দ ও কার্তিক কুমার বিশ্বাসসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয় র‌্যাব সদস্যকে আসামি করা হয়। লিমনকে গুলি করে উল্টো তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক

 আইনের দুটি পৃথক মামলা করে র‌্যাব।মামলায় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ দুই মামলাতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে মামলা বিচারের জন্য আদালতে যায়। এক পা নিয়ে লিমনকে ঘুরতে হয় আদালতে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৩ সালে তাকে দুটি মামলা থেকেই অব্যাহতি দেয়া হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে বাঁ পা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত থেকে কেটে ফেলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কয়েকদিন আগে লিমনের পায়ে গুলি করা হয়েছিল। ওই ঘটনার সময় লিমনের বয়স ছিল ১৬ বছর। তাই ওই বছর আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরের বছর পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই আইন বিভাগে শিক্ষাকতা করছেন তিনি।


Post a Comment

0 Comments