চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৪ সমন্বয়ক ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটিতে যোগ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৭ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই কমিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তিন সমন্বয়ক এবং একজন সহ-সমন্বয়ক রয়েছেন। তারা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনি মসজিদের বিপরীতে শহীদ জোবায়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যরা হলেন: সভাপতি নাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বাইতুল মাল (অর্থ) ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ পারভেজ, শিক্ষা সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, সহকারী মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, আইটি সম্পাদক এস এম ফাহিম, প্রকাশনা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, এইচআরএম আফনান হাসান ইমরান, স্কুল ও কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক (আবাসিক) ইয়াসিন মুহা. মুজতাহিদ, ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া, পাঠাগার সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, বিজ্ঞান সম্পাদক আমির হোসাইন এবং সহ-স্কুল ও কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক (আবাসিক) মোশারফ হোসেন সোহাদ। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তিন সমন্বয়ক হলেন: মোহাম্মদ আলী, ইসহাক ভূঁইয়া, মুজাহিদুল ইসলাম, এবং সহ-সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ খালেদ।
মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের চবি শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলাম বলেন, "ছাত্রশিবির সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা চাই সবাই তার স্বাধীন মত প্রকাশ করুক এবং নিজস্ব আদর্শের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করুক। ছাত্রশিবিরের আদর্শ যারা গ্রহণ করতে চান, তারা আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন। ছাত্রশিবির কখনও জবরদস্তিমূলক রাজনীতি করেনি এবং করবে না।"
f ff
ছাত্রশিবিরের কমিটিতে পাঁচ সমন্বয়ক থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, "আমরা যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করি, তখন সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যারা সাহস করে সামনে এসেছেন, তাদের আমরা যুক্ত করেছি। একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, এবং এখন তারা নিজ নিজ রাজনৈতিক দলে ফিরে যাচ্ছেন। এটিকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই দেখছি।"
0 Comments