অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ছাত্র ও জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিয়েছিল।

 অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ছাত্র ও জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিয়েছিল।

অর্থ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। রাজধানীর এসডিএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

f

অনুষ্ঠানে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসডিএফের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আত্মনির্ভরশীল করার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এসডিএফ বাস্তবায়িত রেজিলিয়েন্স, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পে ২০টি জেলার উপকারভোগী পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে আন্দোলনে সাতজন শহীদ, ১৬ জন গুরুতর আহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া অসংখ্য সদস্য কম-বেশি আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসডিএফের পক্ষ থেকে শহীদ সাতজন সদস্যের পরিবারের মনোনীত ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা, গুরুতর আহত ১৬ জনকে ১ লাখ টাকা এবং ৩৩ জন আহত সদস্যকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী আহত সদস্যদের পরিবারকে গ্রামীণ পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে।

ff f

সভায় সভাপতিত্ব করেন এসডিএফ বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদ ও গভর্নিং বডির সদস্যরা, সাংবাদিকবৃন্দ এবং শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা।

২০০১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসডিএফ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, এসডিজি লক্ষ্য অর্জন এবং জীবিকা উন্নয়নে এসডিএফ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।