মনিরুল বলেন, আমার মায়ের হাতে অনেকেই আলেম হিসেবে গড়ে উঠেছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামকে আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখা-১ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে অবসর দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনো জানা যায়নি, স্বৈরাচারের এই সাবেক সহযোগী কোথায় পালিয়ে আছেন।
এদিকে, হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে মনিরুল ইসলাম জানান, তার মায়ের হাত ধরেই অনেকেই আলেম হয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে একটি পোস্টে মনিরুল তার মায়ের অসুস্থতা এবং তার প্রতি অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি লিখেছেন:
"২৩ ডিসেম্বর সারাদিনের ব্যস্ততার পর আনুমানিক রাত ৯.৩০ টার দিকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে প্রবেশ করি। কেবিনে গিয়ে দেখি মা বিছানায় অচেতন। ওইদিনই তার ডায়ালিসিস করা হয়েছিল এবং তার হাত-পা ফুলে গেছে। অন্যান্য দিনের মতো আমি মায়ের হাত-পা স্পর্শ করে 'মা' বলে ডাকলাম, মা খুব কষ্টে কিছুটা সাড়া দিলেও চোখ খুলে তাকায়নি।"
"মা ১১ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ছিলেন, মাঝখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে কয়েকদিন কাটিয়েছেন। করোনার আগে ও পরে অনেকবারই তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছে, তবে এবার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই আমি আশঙ্কা করছিলাম যে মা হয়তো আর কিছুদিন বাঁচবেন না। প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে হাসপাতাল, তারপর অফিস এবং অফিস শেষে আবার হাসপাতাল ফিরে আসতাম। ২৩ তারিখ হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় মনে হচ্ছিল, মা হয়তো এক-দুই দিনের মধ্যেই আমাদের ছেড়ে চলে যাবে।"
f ff
"সেই রাতে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লেও বারবার অজানা আশঙ্কায় ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল। খুব ভোরে টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভাঙে। মা ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরে আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে যান। আজ ২৪ ডিসেম্বর। ২০২১ থেকে ২০২৪- তিন বছর কেটে গেল।"
"আমাদের এলাকার বহু ছেলে-মেয়ে আরবি ও বাংলা শিক্ষা পেয়েছে আমার মায়ের কাছ থেকে। তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে আলেম হয়েছে। বহু মানুষ আমার মায়ের কাছে সাহায্য পেয়েছে। তাদের দোয়ার বরকতে আমি বিশ্বাস করি, মা নিশ্চয়ই ওপারে ভালো আছেন। যাদের মা-বাবা বেঁচে আছেন, তারা সত্যিই ভাগ্যবান। মা ছাড়া এই পৃথিবীতে এমন কোনো আপনজন নেই।"
0 Comments