"গোটা দেশের অর্থনীতি শূন্য করে ফেলার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত!"
গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থা থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে গেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার সমান। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তবে অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের মতে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলার হতে পারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার সমান। এই পরিমাণ টাকা বাংলাদেশের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭৯ বিলিয়ন ডলার বাজেটের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া অর্থের সঠিক পরিমাণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার তিন মেয়াদের শাসনকালে তার সহযোগীরা দেশের ব্যাংক খাত থেকে যে পরিমাণ অর্থ লুট করেছে, তা আর্থিক কেলেঙ্কারির ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম। এতে দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং গোটা আর্থিক ব্যবস্থা ফাঁপা হয়ে গেছে।
গভর্নর আহসান মনসুর আরও বলেন, ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল যে, ব্যাংক খাতই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা যেখানে লুটপাট করা যায়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো শত শত কোটি ডলার ঋণ হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানিকে দিয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশের অস্তিত্বই নেই, এবং এই টাকা আর কখনো হয়তো ব্যাংকে ফিরবে না। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে দেশ থেকে বাইরে পাচার হয়েছে।
আহসান মনসুর, যিনি ২৭ বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাজ করেছেন, বলেন, ব্যাংক খাতের পুরো পরিচালনা পর্ষদ হাইজ্যাক করা হয়েছিল। তিনি জানান, বিশ্বে অন্য কোথাও এভাবে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ গুন্ডা-মাস্তানদের সহযোগিতায় ব্যাংক খাতের এমন সিস্টেম্যাটিক ডাকাতির ঘটনা তিনি দেখেননি।
f ff
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে এখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও গণসহিংসতার ঘটনা চলমান। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আহসান মনসুর ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, আগামী বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকাশে আরও ঝড় উঠবে, তবে কিছু সময় পর তা পরিষ্কার হতে শুরু করবে।
0 Comments