প্রশাসনের দাবি, শিবির সভাপতি ভাইভায় ডাক পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ‘শর্ত পূরণ’ করেছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসাইনের নাম ডাকা নিয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনের যোগ্যতা পূরণ করায় তাকে ভাইভায় ডাকা হয়েছে।
এর আগে, ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যাতে প্রশাসনের দিক থেকে প্ল্যানিং কমিটির দ্বান্দ্বিক বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্লানিং কমিটি প্রভাষক পদে ২৮টি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ২৬ জন প্রার্থীকে যোগ্য বিবেচনা করে সুপারিশ করেন। ওই ২৬ জনকে ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর একটি নতুন সভায় প্ল্যানিং কমিটি মোবারক হোসাইনের প্রার্থিতা বাতিল করে প্রশাসনকে চিঠি পাঠায়। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ৩১ ডিসেম্বর বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির নতুন সুপারিশ কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই করা হয়েছিল, যা কর্তৃপক্ষের কাছে বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়।
f ff
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ৪ ডিসেম্বর প্ল্যানিং কমিটি মোবারক হোসাইনের প্রার্থিতা সুপারিশ করেছিল, তবে ৩১ ডিসেম্বর আবার তার নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে, যা অযৌক্তিক ছিল। তিনি আরও জানান, মোবারক হোসাইন উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বিভাগ পেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত পূরণ করেছেন এবং ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী তাকে ভাইভায় ডাকা বৈধ।
এছাড়া, মোবারক হোসাইন জানান, নিয়মানুযায়ী তিনি প্রথম বিভাগ হিসেবেই আবেদন করেছেন, এবং এই নিয়ে যেকোনো ধরনের সমালোচনা তার জন্য বিব্রতকর।
0 Comments