“ড. মির্জা গালিব: জামায়াত আগামী নির্বাচনে জিতেও যেতে পারে”

 “ড. মির্জা গালিব: জামায়াত আগামী নির্বাচনে জিতেও যেতে পারে”


রুণ প্রজন্মে জনপ্রিয় ব্যক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব মনে করেন— আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশে বিএনপি ও জামায়েতে ইসলামী হবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক শক্তি।

সম্প্রতি এক বেসরকারি টিভি টক শোতে ভিডিও কলে অংশগ্রহণ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল এবং বিভিন্ন জনমত জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে — বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব বেশি নেই। তার ধারণায়, এবার জামায়াত অতীতে যেকোন নিয়ে তুলনায় ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।

ড. গালিব আরও বলেন,

“জনগণ পরিবর্তন চায়, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ভিন্ন রাজনৈতিক ধারায় আগ্রহী। তাই তাদের প্রত্যাশা হবে বিএনপি-জামায়াত পুরোনো রাজনীতি না করে বরং একটি স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করবে।”

f ff 

টক শোতে একটি দিক হিসেবে উঠে আসে জামায়েত-নেতাদের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড। জানা গেছে, মাত্র ৪–১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা অন্তত ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছে, আর ৫ আগস্টের পর এই সংখ্যা প্রায় ৩০-এ পৌঁছেছে।

ড. গালিব বলেন, এই পরিবর্তনের পেছনে মূল চালিকাশক্তি হলো জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি। জামায়াত এখন একটি সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরও মন্তব্য করেন,

“আগে জামায়াত কখনো শীর্ষ দুই দলের মধ্যে ছিল না। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে তারা বিএনপির সমানতালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, এমনকি নির্বাচনে জয় লাভের সম্ভাবনাও অস্বীকার করা যাবে না।”

তাছাড়া, তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী হওয়া কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু উদ্বেগ রয়েছে। তারা জানতে চায়— জামায়াত ক্ষমতায় এলে নীতি-নীতি কেমন হবে, রাজনৈতিক দর্শন কি হবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কতটা বাস্তববাদী হবে। এসব বিষয়ে সকলের নজর এখন জামায়েতের দিকে।


Post a Comment

0 Comments