শেখ হাসিনা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন: জামায়াত

 শেখ হাসিনা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন: জামায়াত


 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীসহ ভারত-বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকালে ভারতের সাথে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেগুলোতে তিস্তা নদীসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে তিনি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।


তিনি উল্লেখ করেন, অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অধিকার। এ অধিকার আমাদের অস্তিত্ব, কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত। সরকার অনির্বাচিত হওয়ার কারণে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বারবার নতজানু নীতি ও দুর্বলতা প্রকাশ করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে।

j jj

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের পানি সংরক্ষণের জন্য ভারতের প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের অবিলম্বে প্রতিবাদ জানানো উচিত। পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকা অঞ্চলের বৃহত্তর সিলেটের উজানের অভিন্ন নদীগুলোর উপর ভারতের বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রতি বছর সিলেট অঞ্চলে বন্যায় হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে ভারতের সাথে কোন আলোচনা করেননি। আমাদের সুস্পষ্ট মতামত হলো, অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভারতকে দেওয়া ট্রানজিটসহ অন্যান্য সুবিধা বন্ধ রাখতে হবে।


গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা থেকে রাজশাহী এবং কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন ও বাস সার্ভিস চালুর জন্য ভারতের সাথে যে চুক্তি করেছেন, তা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখনই ভারতে যান, তখন শুধু দিয়েই আসেন; কিছুই আনতে পারেন না। এটা তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফল। আওয়ামী লীগ সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় আসে। ফলে জনসমর্থনহীন সরকারকে ভারতের প্রতি তুষ্ট থাকতে হয়।

jj j

গোলাম পরওয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার জন্য।

Post a Comment

0 Comments