খেজুর খাওয়ার ১৪টি উপকারিতা

 খেজুর খাওয়ার ১৪টি উপকারিতা

ভরপুর এনার্জি আর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী খেজুর। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও বিস্ময়কর এই ফলটির অনেক গুণ রয়েছে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে প্রতিদিন অন্তত ২টি করে খেজুর খাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য সময় ডেস্ক

খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো এসিড, শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেল। এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। বিআরবি হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহানের কাছ থেকে চলুন এক নজরে জেনে নেয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে:

1. **কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট**: খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল এবং বাড়তি চর্বি নেই, যা অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

2. **প্রোটিন**: খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা আমাদের পেশী গঠন ও শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে।

3. **ভিটামিন**: খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন বি১, বি২, বি৩, বি৫, এ১, এবং সি। এগুলো দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

4. **আয়রন**: খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে, যা হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং দুর্বল হৃৎপিণ্ডের জন্য নিরাপদ ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

5. **ক্যালসিয়াম**: খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে, যা হাড়কে মজবুত করে এবং শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

6. **ক্যানসার প্রতিরোধ**: খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং নিয়মিত খেজুর খাওয়া ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

7. **ওজন হ্রাস**: খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে।

8. **কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে**: খেজুর খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া রোধ করে।
z zz
9. **সংক্রমণ**: যকৃতের সংক্রমণ, গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠান্ডায় খেজুর উপকারী।

10. **রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ**: প্রচুর মিনারেল এবং আয়রন থাকার কারণে খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে।

11. **কর্মশক্তি বাড়ায়**: প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

12. **স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়**: খেজুর বিভিন্ন ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকায় মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি ও স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

13. **হৃদরোগ প্রতিরোধ**: খেজুরে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, এবং শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে।

14. **কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে**: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। 

তাই প্রতিদিন ২টি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ওজন বাড়াতে সর্বোচ্চ ৪টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে, তবে প্রতিদিন ৪টির বেশি খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

Post a Comment

0 Comments