"‘আয়নাঘরের বন্দিদের’ মুক্তির দাবিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অবস্থান"

 "‘আয়নাঘরের বন্দিদের’ মুক্তির দাবিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অবস্থান"


প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের বন্দিদের’ মুক্তির দাবিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ও বন্দিদের স্বজনেরা আন্দোলন করেছেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় আজ রাতে ২০-২৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।


রাত ১০টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন মারুফ জামান প্রথম আলোকে বলেন, “ডিজিএফআইর ‘আয়নাঘরে’ অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। আমাকেও সেখানে বন্দি রাখা হয়েছিল। তাই আমরা বাকি বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এখানে অবস্থান করব।”

অন্যদিকে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, “আমরা ২০-২৫ জন অবস্থান নিয়েছি এবং এই সংখ্যা বাড়বে। বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে। আমাদের সঙ্গে গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ও যোগ দিয়েছে।”


লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক এবং ব্রিগেডিয়ার (অব.) মো. হাসান নাসিরসহ আরও অনেকেই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

ff f

হাসান নাসির প্রথম আলোকে বলেন, “বছরের পর বছর ডিজিএফআই, র‌্যাব ও পুলিশের বন্দিশালায় অনেক মানুষকে গুম করা হয়েছে। আজ রাতেই তাঁদের মুক্তি দিতে হবে, না হলে তাঁদের মেরে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা না হয়, তাহলে পরবর্তী ঘটনার দায় বর্তমান ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের নিতে হবে। আমরা সেনা কর্তৃপক্ষ ও সেনাপ্রধানকে আমাদের দাবিগুলি পাঠিয়েছি এবং উত্তরের অপেক্ষায় আছি।”


এক নারী, রেহানা বানু মুন্নি, জানান যে তাঁর ভাই সেলিম রেজা পিন্টু ১১ বছর ধরে গুম আছেন এবং তাঁর মুক্তির জন্য তিনি অবস্থান নিয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments