“জামায়াতের নেতারা কখনোই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি, যাবেও না।ডা. শফিকুর
নিচে ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত ও সাবলীল ভাষায় পুনরায় উপস্থাপন করা হলো:
১. দেশের সংকট ও অধিকার প্রতিষ্ঠা:
ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, সংকটকালে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতারা দেশের বাইরে থেকে দেশে ফিরে এসে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আধিপত্যবাদের—অধিকতর ফ্যাসিবাদের—বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন
২. দেশত্যাগ নীতিকে তিরস্কার:
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন:
“জামায়াতের কোনো নেতা দেশ ছেড়ে পালায়নি—এখনো হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। যারা দেশ ও জনগণকে ভালোবাসে না, তারাই বিদেশে নিজেদের দ্বিতীয় ঠিকানা গড়ে তুলেছে।”
৩. নির্যাতন ও শীর্ষ নেতাদের হত্যার অভিযোগ:
শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি জানান
৪. দলীয় স্বচ্ছতা ও সামাজিক দায়িত্ব:
গত ৫৪ বছরে জামায়াত একটি সাধারণ নাগরিকের উপর অন্যায়ের কর্মকাণ্ড করেনি বলে দাবি করেন ডা. শফিকুর; চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসমূলক কাজে কখনো জড়ালে তারা, অন্তত করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
৫. ইসলামী রাষ্ট্র ও নারীর স্বাধীনতা:
ইসলামকে অসাম্প্রদায়িক ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করে, তিনি বলেন ইসলামী রাষ্ট্রে নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পারিবারিক ও সামাজিক কাজে যেতে পারবেন, এবং যারা এই ধারণা প্রচার করছে তারা মিথ্যা ভয় ফোসিয়ে দিচ্ছে
৬. সাম্য, ইনসাফ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি:
শফিকুর রহমান বলেন, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব উপেক্ষা করা যাবে না; ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে নিয়ে পথচলা হবে, এবং জামায়াতের রাজনীতি শুধুমাত্র মানুষের ও মানবতার কল্যাণে হবে
📌 সারসংক্ষেপে মূল বক্তব্য
বিষয় | সারমর্ম |
---|---|
অধিকার ও সংগ্রাম | সংকটকালে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতামূলক ভূমিকা পালন |
দেশত্যাগ বিরোধিতা | দেশ ও জনগণকে ভালোবাসার ভিত্তিতে কোনো নেতা বিদেশে যায় না |
প্রতিহিংসা ও হত্যাকাণ্ড | শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে |
স্বচ্ছতা ও আইনশৃঙ্খলা | চল্লিশ বছরের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, অপরাধে জড়িত হবে না |
নারী অধিকার | ইসলামী রাষ্ট্র নারীর চলাফেরায় বাধা নয়, সুযোগ সৃষ্টি করবে |
রাজনৈতিক দর্শন | ইনসাফ ও মানবিক রাজনীতির জন্য ঐক্যবদ্ধ মানুষের অংশীদারি |
0 Comments