সিবিএ নেতা বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকে ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া নির্বাহীরা চাকরিতে থাকবেন না।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার দিলকুশায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নার ভাঙচুর করেছেন একদল বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা। এছাড়া মানবসম্পদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধরও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া নির্বাহীরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা শান্ত হোন। যে ইসলামী ব্যাংক দখল হয়েছে, তা আবার ফিরে আসবে। এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) মহোদয় আমাকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন।”
আনিসুর রহমান আরও জানান, ২০১৭ সালের পর পরীক্ষা ছাড়া যেসব নিয়োগ হয়েছে, সেসব বাতিল করা হবে। সেইসঙ্গে ওই সময়ের পরে যাদের চাকরি অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে, তাদের পুনরায় চাকরিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। গত সাত বছরে পদোন্নতি বঞ্চিতদেরও যথাযথ পদোন্নতি দেওয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তনের পর অনেক কর্মকর্তাকে জোরপূর্বক চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে এবং কিছু জুনিয়র কর্মকর্তাকে সিনিয়র পদে বসানো হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বের করে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আজ সকালে কিছু কর্মকর্তা ব্যাংকে এসে বঙ্গবন্ধু কর্নার ভাঙচুর করেন। পরে তারা অন্যান্য কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকেন, যাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সাবেক কর্মীদের ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা কিছু কর্মকর্তাকে মারধর করেন এবং ব্যাংক এলাকায় নানা স্লোগান দেন।
ইসলামী ব্যাংকের অপারেশন বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালউদ্দিন জসিম বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান যে, ব্যাংকের এমডির সঙ্গে কথা হয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া সকল বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
0 Comments