ভ্যানে লাশ তোলার ভাইরাল ভিডিওতে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা একজন আ.লীগ নেতার ছেলে।

ভ্যানে লাশ তোলার ভাইরাল ভিডিওতে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা একজন আ.লীগ নেতার ছেলে।

Here's a rewritten version of the text:

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ একটি ভ্যানগাড়িতে স্তূপ করছে পুলিশ।

ভিডিওতে দেখা যায়, এক পুলিশ সদস্য লাশগুলোর স্তূপ করতে ব্যস্ত। তিনি হলেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন, যার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। প্রায় দুই বছর আগে তিনি ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

আরাফাতের বাবা মো. আরিফ হোসেন বদরটুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আরাফাত হোসেন আত্মগোপনে চলে গেছেন এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।


ভিডিওটির অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে যে এটি সাভারের আশুলিয়া থানার কাছাকাছি ধারণ করা হয়েছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে ধারণ করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ সদস্য একজনের হাত এবং আরেকজনের পা ধরে লাশ ভ্যানে ফেলছেন। পরে লাশগুলো কাপড় ও ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ভিডিওতে থাকা পোস্টার থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি আশুলিয়া থানার কাছাকাছি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আন্দোলনরত ছাত্রদের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য একটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল, যদিও এটি পুলিশের ড্রোন ছিল কি না তা নিশ্চিত নয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশ গুলি চালায় যখন ছাত্র-জনতা থানার দিকে অগ্রসর হয়, যার ফলে বেশ কয়েকজন নিহত হয়। পরে লাশগুলো থানার সামনে এনে ভ্যানে রাখা হয় এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, "আরাফাত হোসেন ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ভেঙে পড়েছেন এবং এখনো অফিসে আসেননি।" তিনি আরও জানান, তারা সেদিন ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি করেননি এবং তাদের কাজ ছিল পুলিশের নির্দেশনা পালন করা। 
ff f

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় ছাত্ররা জমায়েত হয়। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ গুলি চালায়, যার ফলে ১৫ জন নিহত হন। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ৭৫ জন নিহত হন এবং সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।


Post a Comment

0 Comments