ইসলামী ব্যাংক শীঘ্রই তার হারানো অবস্থানে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে, জানিয়েছেন ওমর ফারুক খান
নোবেল পেশাজীবন: একটি পরিমার্জিত বিবরণ
🏦 ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এখন সুসংগঠিতভাবে পুরনো অবস্থানে ফিরে আসছে
তিনি গত ৯ মাসে চাকা বসিয়ে সমস্ত সেক্টরে ধারাবাহিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চালু করেছে, তিনি আরও জানান– “আগে ব্যাংকের ভাবমূর্তির বিপর্যয় ঘটে ফের, এখন পুরো সিস্টেমে সুশাসন দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে”।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও একই কথা বলছেন: উন্নত কাঠামো ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ফিরে আসায় আজ ব্যাংকিং খাতে দৃশ্যমান ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ff f
📌 মূল ফলাফল ও উন্নয়ন
মেট্রিক | দাবি অনুযায়ী ফলাফল |
---|---|
নতুন অ্যাকাউন্ট | ≈ ২৫ লাখ |
নতুন আমানত | ≈ ৩২,০০০ কোটি টাকা |
মোট আমানতের পরিমাণ | ≈ ১,৭৩,০০০ কোটি টাকা |
মো. ওমর ফারুক খান অফিস করেন এইচ.আর. (বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক) হিসাবে— বর্ণালি: ২০১৯ সালে নিয়োগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ৩৭ বছরব্যাপী ক্যারিয়ার থেকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।
“বিগত ৫ আগস্ট থেকে গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপের ফলে বিনিয়োগ জালিয়াতি এবং অনিয়মের মাত্রা কমেছে” সাক্ষ্যমতো যা আমানত বুঢ়ার উৎসাহ ফিরিয়ে এনেছে।
এর ফলেই প্রায় ২৫ লক্ষ গ্রাহক আবার ব্যাংকে ফিরেছে, এবং চলতি আমানত বৃদ্ধি দ্রুতগতিতে^1 ঘটেছে। এই পরিস্থিতি “তারল্য সংকট পুরোটাই বিলুপ্ত হয়েছে”— এই বিষয়ে ফারুক খান দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন।
✈️ রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক বাণিজ্যে পুনর্স্থান
-
রেমিট্যান্স ফ্লো বেড়েছে, যা বিদেশে কর্মরত প্রবাসীদের আস্থা ও ব্যাংকের নেটওয়ার্কিং-এর সফলতা প্রদর্শন করছে।
-
এলসি চালু ও মুদ্রা অববাহিকা এখন আগের মতো স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
🧭 ব্যাংকের সংগ্রামী ইতিহাস ও বর্তমান “চ্যালেঞ্জগুলো”
-
মাধ্যমে ২০১৭ সালে রাজনীতিক দখল এবং অব্যবস্থাপনার ফলে ব্যাংক এক বিধ্বস্ত পরিবেশে পতিত হয়, গ্রাহকদের আস্থা ব্যাহত হয়েছিল। পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপিত হলে বেনামে নেয়া অর্থ ফেরত আনা, খেলাপি বিনিয়োগ নজরদারিতে রাখা— এগুলো ছিল প্রধান ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ।
-
নতুন পরিবেশে বারবার প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের চর্চা জরুরি, তা না হলে আস্থা ও নিয়ন্ত্রণ ফের পাওয়া কঠিন।
f ff
🔎 উপসংহার ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
-
মে ২৪, ২০২৫ সালে, বৃহত্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোটামুটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. ফারুক খান।এখন মূল লক্ষ্য: ইসলামী ব্যাংককে আবার তার হারানো গৌরব ও ব্যবসায়িক অবস্থানে ফিরিয়ে আনা, যা গ্রাহক আস্থা, তারল্য সুস্থতা ও নিয়মবদ্ধ কার্যাবলীর মাধ্যমে অর্জন সম্ভব।
-
সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে: লুটপাট করে নেওয়া অর্থ ফেরানো, খেলাপি ঋণের আদায়, এবং একক নিয়ন্ত্রণ সংস্কৃতি থেকে দূরে গিয়ে যথোপযুক্ত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
✍️ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য (উদ্ধৃতি)
“সুশাসন ও নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ-উন্নয়ন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ব্যাংকে সত্যিকার রূপে আত্মবিশ্বাস আবার ফিরছে। এলসি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের নানাবিধ বিভ্রম এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠা গেছে”— মো. ওমর ফারুক খান, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
^1: Financial Express-এর অনলাইন প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামী ব্যাংক ২০২৪ সালে আমানত সংগ্রহে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১,৬১,০০০ কোটি দৈল হয়েছে।
— এই প্রেক্ষাপটে, পরবর্তী সংখ্যাগুলো (১৭৩ হাজার কোটি) হবে সর্বাত্মক বৃদ্ধি বিবেচনায়, যা মো. ফারুক্ খানের বক্তব্যের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো।
🔗 সারসংক্ষেপ: সংক্ষিপ্ত সময়ে— রাজনৈতিক ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা ভেঙে— ইসলামী ব্যাংক অনেকটা দৃঢ় নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা ফিরে পেয়েছে। গ্রাহক আস্থা ও সুশাসনের সংমিশ্রণে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব বলে ব্রিফ করেছেন মো. ফারুক খান।
0 Comments