"মালিকানা দ্বন্দ্বের ফলে অস্থির ব্যাংকিং খাত"

 "মালিকানা দ্বন্দ্বের ফলে অস্থির ব্যাংকিং খাত"

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, দেশের ব্যাংকিং খাতে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবলভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। একের পর এক বাণিজ্যিক ব্যাংকে চলেছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে দখল হওয়া ব্যাংকগুলি ফেরত পাওয়ার জন্য পুরোনো উদ্যোক্তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। কিছু ব্যাংকে মালিকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে, আবার কিছু ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অধিকাংশ ব্যাংকই ইতোমধ্যে তারল্যসহ নানা সংকটে ভুগছে, আর নতুন এই অস্থিরতা ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, গত দেড় দশকে ব্যাংক খাতে ঘটে যাওয়া অন্যায় ও অবিচারের দ্রুত প্রতিকার করা প্রয়োজন।


জানা গেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ব্যাংকগুলিতে অস্থিরতা শুরু হয়। বিশেষ করে ৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের পর এই অস্থিরতা অন্যান্য ব্যাংকেও ছড়িয়ে পড়ে। মালিকানা দ্বন্দ্বের কারণে কিছু ব্যাংকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বেশি দেখা যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ অন্তত ১০টি ব্যাংকে মালিকানা দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ভঙ্গুর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা দরকার। কিছু ব্যাংক রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে, সেগুলিতে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হতে পারে।’

ff f

২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের পর সাত বছরে ব্যাংকটি ভয়াবহ অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি, নতুন মালিকরা কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে এবং দ্বন্দ্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে হামলা হয়। স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকেও মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকেও একই ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।

ব্যাংকিং খাতের অবস্থার উন্নতির জন্য নতুন গভর্নরের অধীনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন সাবেক ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন কালবেলা। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে উত্তরণের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।



Post a Comment

0 Comments