"শেখ হাসিনার আমেরিকা সফরের নাটক"

"শেখ হাসিনার আমেরিকা সফরের নাটক"


 ভারতের নয়াদিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রকে তাঁর বিদায়ের জন্য দায়ী করছেন। তবে কি এটা সত্যি, নাকি তিনি রাশিয়া, চীন ও ভারতের সহানুভূতি পেতে নাটক সাজাচ্ছেন?


তথ্যসূত্র অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ২০২২ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে সই করেছিলেন, যা তাঁর মসৃণ বিদায়ের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। এই চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা কীভাবে দিল্লি হয়ে লন্ডন যাবেন এবং বিদায়ের শর্তাবলী কী হবে, সবকিছুই নির্ধারিত ছিল। তবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিনি সময়ক্ষেপণ করায়, আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পরিস্থিতি সঙ্ঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং শেখ হাসিনা দ্রুত ভারতে পালান। এই অরাজনৈতিক অভ্যুত্থানে বিদেশি হস্তক্ষেপের কোনো প্রমাণ নেই, বরং ভারত শেখ হাসিনার সরকারকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে।

mmm

মহান আল্লাহর কাছে দুঃখ প্রকাশ না করার মতো ঘটনা কুরআন ও সাহিত্যে প্রমাণিত। শেখ হাসিনা সত্য জানার আগ্রহ প্রকাশ না করায় তাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়ে। তিনি চক্রান্ত ও ভাঙচুরের খবর বিশ্বাস করলেও তাঁর বাহিনীর গণহত্যার খবর এড়িয়ে গেছেন। 


২০২২ সালের শেষদিকে লন্ডন ও দুবাইয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। চুক্তি অনুযায়ী, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন এবং পরবর্তী নির্বাচন হবে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি হননি এবং বিরোধী দল নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম হলে চুক্তি মানবেন বলে জানান।

mmm

বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের কারণে আমেরিকা ও ভারত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, এবং ভারত শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে মানতে অসম্মতি জানায়। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের একটি জ্বালানি কোম্পানিকে বঙ্গোপসাগরের তেল-গ্যাস ব্লক দেয়ার নাটক সাজান, যা ভারত আপত্তি জানায়। 


একটি মার্কিন সূত্র অনুযায়ী, ভারত বাংলাদেশের অবস্থানকে নিজের বাড়ির উঠানের মতো মনে করে, আর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অবস্থান নিয়ে চীনকে মোকাবেলা করতে চায়। শেখ হাসিনার সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়। এই বৈঠকে শেখ হাসিনা উত্তেজিত হয়ে বলেন যে, বাংলাদেশের সকল রাজনীতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বিরোধী দলের আন্দোলন তিনি সামলাতে পারবেন।

mmm

সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে মার্কিনিদের আলোচনায় পূর্বের চুক্তি অনুসরণের কথা আসে। শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন বলে বিশ্বাস করেছিলেন, তবে আন্দোলনের বেগবান হওয়ার ফলে তাঁর পরিকল্পনা ব্যাহত হয় এবং পশ্চিমা সমর্থন বন্ধ হয়ে যায়।

Post a Comment

0 Comments