"বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ নেতাই দেশের মধ্যে আছেন।"
"আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্য (এমপি) এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কোথায় অবস্থান করছে, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গণমাধ্যমও এই নেতাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে এবং ইতিমধ্যে অনেকের দেশত্যাগের খবর এসেছে। জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ও পরে মিলিয়ে ৩০-৩৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা দেশের বাইরে চলে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এদের মধ্যে চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১০-১৫ জন এমপি এবং বাকিরা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতা।
আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজন ও কর্মীরা জানিয়েছে, বেশিরভাগ নেতা দেশে আত্মগোপনে আছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিছু নেতা সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছেন এবং তাদের সহযোগিতায় আরো কয়েকজন দেশত্যাগ করেছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায় থেকে নির্দেশনা এসেছে কেউ যেন দেশত্যাগ না করেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আত্মগোপন থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কারাবরণের নির্দেশনাও রয়েছে। তবে এর আগে নেতাদের নিরাপদে থাকতে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও নেতাদের একটি বড় অংশ ঢাকার ভেতরে ও আশপাশে আত্মগোপনে রয়েছেন, এবং অন্য অংশ ঢাকার বাইরে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী এলাকাগুলোতে অবস্থান করছেন। কিছু নেতা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন, তবে পরিস্থিতির কারণে অনেকেই দেশেই অবস্থান করছেন।
aaa
এছাড়া, নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ পেলে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের চেষ্টা করছেন কিছু নেতা। তবে এখন পর্যন্ত এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়নি এবং অ নেকেই গণপিটুনির আশঙ্কায় আত্মগোপনে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করলে ধরা পড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
একইভাবে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের একটি অংশ তাদের সম্পদ রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং প্রয়োজন হলে অর্থ খরচ করতেও রাজি আছেন। পটপরিবর্তনের পর প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা চলছে অনেকের পক্ষ থেকে।"

0 Comments