"যদি কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা কি সত্যিই নিষিদ্ধ হয়ে যাব? জামায়াতের আমিরের প্রশ্ন।"

 "যদি কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা কি সত্যিই নিষিদ্ধ হয়ে যাব? জামায়াতের আমিরের প্রশ্ন।"

জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, যখন আন্দোলন তুঙ্গে ছিল, হঠাৎ করে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আন্দোলনকে অন্যদিকে নিতে। কিন্তু জাতি এটি গ্রহণ করেনি। শফিকুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, “যদি কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা কি সত্যিই নিষিদ্ধ হয়ে যাব? আমরা এটা মনে করি না।”

আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।

বৈঠকে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল বা নিষিদ্ধ ঘোষণা বাতিলের বিষয় আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা এখানে দলীয় দাবি নিয়ে আসিনি। আমরা জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। দলীয় বিষয় থাকবে, কিন্তু বড় কথা হলো, কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দিল বলে আমরা নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম, এমন নয়।”



তিনি আরও বলেন, “শেষের দিকে সরকারের অনেক ভুল কাজ হয়েছে, যার মাশুল দেশের জনগণ দিয়েছে। সরকারের এ ভুলের বোঝা জনগণকে টানতে হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো যখন আন্দোলন তুঙ্গে ছিল, এটা জাতি বুঝতে পারছে। তাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা করছে এবং রাষ্ট্রও আমাদের অনুরোধ করছে। আমরা এটাকে যথেষ্ট বৈধতা মনে করি।”

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, “এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। হামলাগুলো ধর্মীয় কারণে হয়েছে কি না, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। রাজনৈতিক কারণে হলে তা ধর্মীয় হামলা হিসেবে চালানো যাবে না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা রাজনৈতিক দলে যুক্ত, তাদের ওপর ক্ষোভের জায়গা থেকে হয়তো প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে, যা ধর্মীয়ভাবে বিবেচিত হতে পারে না।”

তিনি যোগ করেন, “যেভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উপস্থাপন করা হচ্ছে, তা সত্য নয়। জামায়াতে ইসলামী নাম নিয়ে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা লেখালেখি করছেন, কিন্তু পরিস্থিতি কেমন তা স্পষ্ট নয়। কিছু লোক মন্দির পাহারা দিচ্ছেন, অথচ তাদের বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হচ্ছে।”

ff f

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের আমির বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। মাত্র চার দিন হয়েছে। আমরা দেখতে চাই তারা জাতির সামনে কীভাবে এগোবেন এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন। দেশ আমাদের সবার, দেশ বেঁচে থাকলে, আমরা সবাই ভালো থাকব।”

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও শামছুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, এহসান মাহবুব যোবায়ের, মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম এবং উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।


Post a Comment

0 Comments