পুলিশ দাবি করেছে যে, আয়নাঘর এবং হেফাজতের ওপর হামলায় জড়িত থাকার কথা জিয়াউল স্বীকার করেছেন।

 পুলিশ দাবি করেছে যে, আয়নাঘর এবং হেফাজতের ওপর হামলায় জড়িত থাকার কথা জিয়াউল স্বীকার করেছেন।


পুলিশ দাবি করেছে যে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ ও নিধন, আড়িপাতার পেগাসাস সফটওয়্যার ক্রয় এবং ‘আয়নাঘর’-এর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনে পুলিশের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াউল এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তবে আদালতে শুনানির সময় জিয়াউল আহসান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পেগাসাস বলে কিছু নেই। আমি কারো ফোন ট্র্যাক করিনি।”
রিমান্ড আবেদনে পুলিশ আরও দাবি করেছে, এনটিএমসি-র সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল ‘আয়নাঘর’-এর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। কিন্তু জিয়াউল এই অভিযোগও অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো হত্যাকাণ্ড বা গুমের সঙ্গে জড়িত নই। যারা আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়েছে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি তাদের সেখানে আটকে রেখেছি কি না।”
তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ আগস্ট তাকে ডিজিএফআই তুলে নিয়ে আট দিন আয়নাঘরে বন্দি করে রেখেছিল।

fff

রিমান্ড আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সহিংস দমন-পীড়নে জিয়াউলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, যা তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং এর আগে তিনি র‌্যাব-২-এর ভাইস ক্যাপ্টেন ও র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Post a Comment

0 Comments