বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনা, জেনারেল আজিজসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের।

 বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনা, জেনারেল আজিজসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি এবং বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট), ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ‘দুপুরের দিকে এ মামলার শুনানি হবে।’

মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কারা-মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম এবং হাসানুল হক ইনু। এছাড়া, ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং কারাগারের চিকিৎসকদেরও আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট ব্যবহার করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বাদী আরও অভিযোগ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পিলখানায় ডিএডি হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং তাকেও বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।