ঘুমানোর আগে রাসূলুল্লাহ (সা.) যেসব আমল করতেন

ঘুমানোর আগে রাসূলুল্লাহ (সা.) যেসব আমল করতেন


 একটি হাদিসে ঘুমানোর আগে কিছু সতর্কতামূলক কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো এবং সন্ধ্যার সময় তোমাদের সন্তানদের ঘরে আটকে রেখো। কারণ, এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত কিছুতে আক্রমণ করে।

নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা, ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বলিত বাতির সলতে টেনে নিয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে গৃহবাসীদের ক্ষতি হতে পারে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩১৬)
রাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হয়ে ঘুমানো সুন্নত। তাই ঘুমানোর আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবে, যাতে কোনো খাবার লেগে না থাকে।

m mm

শয্যায় যাওয়ার আগে বিছানা ঝেড়ে নেওয়া উচিত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তাহলে সে যেন তার লুঙ্গির সাহায্যে বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে তার অনুপস্থিতিতে বিছানায় কোনো ক্ষতিকর কিছু এসেছে কি না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩২০)
চোখে বেজোড় সংখ্যায় সুরমা লাগানো সুন্নত।

ডান কাতে শয়ন করা সুন্নত। শয়নকালে দোয়া পড়াও সুন্নত। হাদিসে ঘুমানোর আগে কিছু দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সবগুলো না পড়তে পারলে, এই ছোট দোয়াটি পড়া যায়: ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় পুনরায় জাগ্রত হবো।’
সুরা এখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া সুন্নত।

m mm

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন শয্যায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা এখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁক দিতেন এবং মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যতদূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বুলাতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
আয়াতুল কুরসি পাঠ করা সুন্নত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সবসময় তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)

Post a Comment

0 Comments