সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা যেকোনো সময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন। এই তথ্যটি বণিক বার্তাকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে।
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশ গমনের পর, আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে মাত্র আড়াই মাস পর, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সরকার সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওইদিনই বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা আপিল বিভাগের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ওয়াহহাব মিঞা ১৯৭৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর স্থায়ী বিচারক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি ও পদত্যাগের পর, ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ff f
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের মামলায় আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের বিপরীতে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের ক্ষেত্রে তিনি একমাত্র বিচারপতি ছিলেন, যিনি দ্বিমত পোষণ করেন।
বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটিতে বিদেশে যাওয়ার পর, বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিচারপতি সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি তাকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেন। বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার দায়িত্ব পালনকালে, অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানাপড়েনের সমাধান ঘটে, যা নিয়ে বিচারপতি সিনহা অভিযোগ করেছিলেন যে, সরকার বিচার বিভাগের ওপর কর্তৃত্ব করতে চাইছে।

0 Comments